‘ধাক্কা এসেছে, তবে রকেট সায়েন্স নয় যে দ্রুত সব বদলে যাবে’

বিসিবি এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি। তবে ‘টিম ডিরেক্টর’ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার নির্দেশনা বোর্ড থেকে পেয়ে গেছেন খালেদ মাহমুদ। কাজ শুরু করতেও দেরি করেননি তিনি। তরুণ কয়েকজন ক্রিকেটারের অনুশীলন দেখভাল দিয়ে শুরু হয়ে গেল তার নতুন দায়িত্ব। তবে শুরুর দিনই তিনি জানিয়ে রাখলেন, রাতারাতি পরিবর্তন আশা না করে ধৈর্য ধরতে হবে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Nov 2021, 11:34 AM
Updated : 7 Nov 2021, 11:34 AM

সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদকে খেলা ছাড়ার পর বহু ভূমিকায় দেখা গেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটে। এখন তিনি বোর্ড পরিচালক ও ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রতিষ্ঠিত কোচ। জাতীয় দলে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছেন অনেকবার, ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে ছিলেন কোচ হিসেবেও। এবার বিশ্বকাপে দলের বিপর্যয়ের পর ‘টিম ডিরেক্টর’ পদ দিয়ে তাকে দলে যুক্ত করেছে বোর্ড। নানা ভূমিকায় তার কার্যকারিতা যথেষ্ট ভালো বলেই বিভিন্ন দায়িত্বে তাকে ভাবা হয় সবার আগে।

‘টিম ডিরেক্টর’ হিসেবে তার দায়িত্বের পরিধি কেমন, তা স্পষ্ট নয় এখনও। তবে শুরুটা হলো কোচের ভূমিকায়। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য কয়েকজন তরুণ ক্রিকেটারকে বিবেচনায় রেখেছেন নির্বাচকরা। তাদের মধ্যে বাঁহাতি ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন, নাজমুল হোসেন শান্ত, মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান তৌহিদ হৃদয়, বাঁহাতি স্পিনার তানভির ইসলামদের নিয়ে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে হলো অনুশীলন সেশন।

বিশ্বকাপের পর আপাতত কদিনের ছুটিতে জাতীয় দলের কোচরা। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানালেন খালেদ মাহমুদ, কোচিং স্টাফ নেই বলে আপাতত তিনি কাজ শুরু করে দিলেন।

“নতুন কিছু ছেলেকে ডেকেছেন নির্বাচকরা, দেখতে চেয়েছেন। যেহেতু কোচরা কেউ নেই, সবাই বাইরে, তাই কাজ করার ব্যাপারটি ছিল ওদের সঙ্গে। যেহেতু টি-টোয়েন্টি সামনে, সেটি মাথায় রেখেই কাজ করার চেষ্টা করছি। এই ফরম্যাটে আমরা যেভাবে খেলতে চাই, সেভাবে অনুশীলন করছি।”

জাতীয় দলের কোচিং স্টাফে আরও একজনের নিয়োগ নিয়ে আলোচনা চলছে। দেশের সেরা কোচদের একজন বলে বিবেচিত মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে পেতে চায় বোর্ড, নিশ্চিত করলেন খালেদ মাহমুদ।

“আছে তো অবশ্যই (সালাউদ্দিনকে যুক্ত করার সম্ভাবনা), সেজন্য চেষ্টা করছি। যদিও এটা সালাউদ্দিনের ব্যাপার কাজ করবে কিনা। আমরা চাই ওকে বাংলাদেশের সেটআপের সঙ্গে যুক্ত করতে।”

তবে দলে তরুণ ক্রিকেটারদের আগমণী, কোচিং স্টাফে নতুন সদস্য যুক্ত করা, এসবের মানেই যে দল রাতারাতি বদলে যাবে না, এটিও মনে করিয়ে দিলেন খালেদ মাহমুদ। তার মতে, ফল পেতে সময় লাগবে সবদিক থেকেই।

“টি-টোয়েন্টি একটা সংস্করণ, যেখানে আমরা নতুনদের এক্সপোজার দিতে পারি। কারণ ওয়ানডে দলটা সেট, টেস্টেও ভালো দল সেট করা আছে। তরুণদের এক্সপোজার দিতে হলে এই ফরম্যাটেই একটা সুযোগ আছে। যেহেতু এখানে আমরা ভালো করছি না। এই ছেলেরা খেললেই যে ভালো করবে, তা নয়। তৈরি করার ব্যাপার আছে। পর্যায়ক্রমে করতে হবে, আস্তে আস্তে।”

“তাড়াহুড়ো করে তো কিছু হবে না। ধাক্কা তো একটা এসেছেই, আমরা ভালো করিনি। তবে এটা তো রকেট সায়েন্স নয় যে হঠাৎ করেই পরিবর্তন চলে আসবে আর আমরা জিততে আরম্ভ করব। সময়সাপেক্ষ ব্যাপার, ধৈর্য ধরতে হবে।”

দলে কিছু পরিবর্তন এলেও এখনই বড়সড় পরিবর্তন আসবে না বলেই মনে করেন খালেদ মাহমুদ। তবে মাস দুয়েক পর বড় পরিবর্তনের আভাস দিলেন তিনি।

“যারা এখানে করছে (অনুশীলন), সবারই সামর্থ্য আছে। বাইরে আরও কিছু ছেলে আছে, আস্তে আস্তে হবে। পরিবর্তন অবশ্যই হবে, হওয়াটাই স্বাভাবিক। হয়তো জানুয়ারিতে একটা পরিবর্তন আসতে পারে। তবে যেহেতু এই সিরিজটা কাছে, বড় পরিবর্তন যে হবে, তা নয়। তবে কিছু পরিবর্তনের সম্ভাবনা আছে।”