ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে অপেক্ষা ফুরাল জাদেজার

উইকেটে টার্ন মিলল কিছুটা। সেটিই দারুণভাবে কাজে লাগালেন রবীন্দ্র জাদেজা। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে প্রতিপক্ষকে অল্প রানে গুটিয়ে দিতে রাখলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তাতে ফুরাল তার দীর্ঘ অপেক্ষাও। প্রায় ১০ বছর পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেলেন ভারতের বাঁহাতি স্পিনিং অলরাউন্ডার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Nov 2021, 06:31 PM
Updated : 5 Nov 2021, 06:45 PM

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুক্রবার টস জিতে স্কটল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে মাত্র ৮৫ রানে অলআউট করে দেয় ভারত। লোকেশ রাহুলের বিস্ফোরক ইনিংসে ৬.৩ ওভারে তা পেরিয়ে যায় তারা ৮ উইকেট হাতে রেখে। বাঁচিয়ে রাখে সেমি-ফাইনালের সম্ভাবনা।

দারুণ বোলিং করেন ভারতের প্রায় সবাই। পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ ৩ ওভার ৪ বলে মাত্র ১০ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। আরেক পেসার মোহাম্মদ শামি ৩ ওভারে ১৫ রানে ৩টি।

তবে ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা জাদেজা। ৪৮ রানে ৩ উইকেট ছিল এই সংস্করণে তার আগের সেরা বোলিং, ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ঢাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।

দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে পাওয়ার প্লে শেষে সপ্তম ওভারে বল হাতে পান তিনি। তৃতীয় বলেই পান উইকেট। তার দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হন রিচি বেরিংটন। ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান, বল একটু টার্ন করে আঘাত হানে মিডল স্টাম্পে।

ওভারের শেষ বলে তিনি ফিরিয়ে দেন ম্যাথু ক্রসকে। স্কিড করে আসা বলে এলবিডব্লিউ হন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। উইকেট দুটি নেওয়ার পথে ওভারে মাত্র ২ রান দেন জাদেজা।

নিজের পরের ওভারে তিনি দেন ৪ রান। ১২তম ওভারে বোলিংয়ে ফিরে দ্বিতীয় বলে এলবিডব্লিউ করে দেন মাইকেল লিস্ককে। ওভারে দেন ৩ রান। আর কোটার শেষ ও ইনিংসের ১৫তম ওভারে একটি চার হজম করে দেন ৬ রান।

উইকেটে টার্ন মিলেছে দেখে খুশি জাদেজা। ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিয়ে বললেন, বেরিংটনের উইকেটটি তার কাছে বিশেষ কিছু।

“এই পিচে বোলিং উপভোগ করেছি, বল টার্ন করছিল। প্রথম উইকেটটি ছিল স্পেশাল, যখন টার্ন করা বলে ব্যাটার আউট হয়, তখন তা স্পেশাল।”

৫৪ ম্যাচের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এর আগে একবারই ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছিলেন জাদেজা। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে, মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।

ভারতের ৮ উইকেটে জেতা ওই ম্যাচে জাদেজাকে ব্যাটিংয়ে নামতে হয়নি। অস্ট্রেলিয়াকে ১৩১ রানে গুটিয়ে দিতে ৩ ওভারে ১৬ রানে একটি উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে দারুণ ফিল্ডিংয়ে দুটি রান আউটে ভূমিকা রেখে হয়েছিলেন ম্যাচের সেরা।