বাংলাদেশের ক্রিকেটের এগিয়ে চলার সঙ্গে মিশে আছে সাবের হোসেনের নাম। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত তিনি ছিলেন বিসিবির সভাপতি। টেস্ট খেলুড়ে দেশ না হয়েও সেই সময় মিনি বিশ্বকাপ (এখনকার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি) এককভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ। তার সময়েই প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে দল, ১৯৯৯ বিশ্বকাপে চমক জাগানিয়া জয় পায় পাকিস্তানের বিপক্ষে। তার সময়েই বাংলাদেশ পায় টেস্ট মর্যাদা।
সময়ের পরিক্রমায় ক্রিকেট প্রশাসন থেকে তিনি দূরে থাকলেও ক্রিকেট থেকে দূরে থাকেননি। নানা সময়ই ক্রিকেট নিয়ে নানা মন্তব্য তার দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বা সংবাদমাধ্যমে। বর্তমান সভাপতি নাজমুল হাসানের নানা কর্মকাণ্ডের সমালোচনাও তিনি করেছেন বহুবার।
এবার বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ভরাডুবির পর টুইটারে নিজের প্রতিক্রিয়ায় সরাসরিই নাজমুল হাসানকে কাঠগড়ায় তুললেন সরকার দলীয় এই সাংসদ।
২০১২ সালের অক্টোবরে সরকারের মনোনয়নে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব পান নাজমুল হাসান। পরের বছর বিসিবির প্রথম নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে তিনি দায়িত্ব নেন, যদিও নির্বাচনে জেতেন বিনা প্রতিন্দ্বন্দ্বিতায়। এরপর ২০১৭ সালে ও সবশেষ, গত মাসের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি নির্বাচিত হন সভাপতি।
তার সময়ে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে দেশের মাঠে হংকংয়ের কাছে হারে বাংলাদেশ। এরপর প্রথম রাউন্ড উতরাতে পারলেও মূল পর্বে হারে সব ম্যাচ। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ডে সব ম্যাচ জিতলেও মূল পর্বে হারে সব ম্যাচ। এরপর এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ডে স্কটল্যান্ডের কাছে হারের পর মূল পর্বে হার সঙ্গী হয়েছে সব ম্যাচে।
এই সময়ে দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলে বাংলাদেশ। ২০১৫ বিশ্বকাপ ছিল বেশ সফল। ২০১৪ সালে দুঃস্বপ্নের এক বছরের পর মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বে ২০১৫ বিশ্বকাপে-কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে বাংলাদেশ। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে মাশরাফির নেতৃত্বেই অনেক বড় আশা নিয়ে গিয়ে ভালো করতে পারেনি দল। ১০ দলের মধ্যে অবস্থান হয় ৮ম।
বিশ্বকাপের ফল নিয়ে অবশ্য সেসময় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। কিন্তু পরে বিশ্বকাপ ব্যর্থতার কারণ দেখিয়েই বরখাস্ত করা হয় সেই সময়ের কোচ স্টিভ রোডসকে।