টি-টোয়েন্টির বাংলাদেশ: এখন কী করা উচিত

আক্ষেপ, হতাশা, সমালোচনা, হাহাকার, পরস্পর আঙুল তোলা, সবই চলছে। ব্যর্থ বিশ্বকাপ অভিযানের পর কেউ মুণ্ডুপাত করছেন ক্রিকেটারদের, কেউ কোচিং স্টাফদের, কেউ বা বোর্ড কর্তাদের, আবার অনেকের কাঠগড়ায় সবাই। অস্ট্রেলিয়ার কাছে বৃহস্পতিবার হারার পর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, এই ব্যর্থতার কারণ জানা নেই তারও। কিন্তু কারণ তো খুঁজে বের করতেই হবে। দ্রুত বের করতে হবে সমাধানও। পরের বিশ্বকাপের যে আর দেরি নেই খুব বেশি।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Nov 2021, 01:38 PM
Updated : 5 Nov 2021, 03:32 PM

ম্যাচ খেলার দিক থেকে এই বিশ্বকাপের সবচেয়ে অভিজ্ঞ দল ছিল বাংলাদেশ। অথচ সুপার টুয়েলভ থেকে তাদের বিদায়ই হয়েছে সবার আগে। আরও একবার মূল পর্বে সব ম্যাচ হারার পর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ বলেন, টি-টোয়েন্টিতে এখনও তারা নিজেদের পায়ের নিচে জমি পাওয়ার চেষ্টা করছেন!

পরের বিশ্বকাপের আর এক বছরও নেই। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে আলাপচারিতায় পায়ের নিচের জমি দ্রুত শক্ত করার স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী কিছু পথ বাতলে দিলেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।

সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান।

রকিবুল হাসান

(সাবেক অধিনায়ক)

“খেলা যা হয়েছে, তা দুঃখজনক, হতাশাজনক ও লজ্জাজনক। মনে হয়েছে, বিশ্বকাপে আমরা বেমানান। বিশ্বকাপ দলের সামনে যেন কোনো পাড়ার দল। সামান্য লড়াইটুকুও করতে পারেনি।”

“সবার আগে দরকার দলে পরিবর্তন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট সাহসীদের খেলা। ভীতুদের দিয়ে এই ক্রিকেট হয় না। যারা ভয় পায়, কুঁকড়ে থাকে, নিজেকে ভাঙতে পারে না, তাদের দরকার নাই। আগ্রাসী, ভয়ডরহীন, উদ্যমী যারা, তাদের বাছাই করতে হবে। দলে আনতে হবে। তাদের তৈরি করার ব্যবস্থা করতে হবে এবং পর্যাপ্ত সুযোগ দিতে হবে।”

“ক্রিকেট অনেক এগিয়ে গেছে, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট আরও এগিয়ে গেছে। মান্ধাতার আমলের ক্রিকেট, ধ্যান-ধারণা দিয়ে চলবে না।”

“সবকিছুর আগে সবচেয়ে জরুরি, একটা কার্যকর ন্যাশনাল টেকনিক্যাল কমিটি গড়া। তাদের পরামর্শে বোর্ড কাজ করবে। টেকনিক্যাল কমিটি এখনও আছে, তবে শুধু নামে। সত্যিকার অর্থেই তাদেরকে গুরুত্ব দিতে হবে। খুব বেশিজন দরকার নেই, তিন জনের কমিটি হলেই চলবে। তারা ছক আঁকবে, বলে দেবে কোন পরিস্থিতিতে কোথায় কেমন কী করতে হবে। আমাদেরকে ডাকা হোক, বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করব।”

“আগামী বিশ্বকাপের আর এক বছরও নেই। একটি দিনও তাই নষ্ট করা যাবে না। ক্রিকেটাররা এখন দেশে ফিরে বিশ্রাম নেবে। এরপর যেদিন থেকে মাঠে ফিরবে, সেদিন থেকেই বিশ্বকাপ প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। এই পাকিস্তান সিরিজ থেকেই প্রস্তুতি শুরু। সেভাবেই পরিকল্পনা করতে হবে।”

“সেদিন তাসকিন আহমেদের কথা শুনছিলাম, একটা প্রসঙ্গে সে বলছিল, ‘টিম ম্যানেজমেন্ট জানে।’ টিম ম্যানেজমেন্টটা কে, সেটাই তো বুঝি না। কাকে কখন খেলাচ্ছে, কে কোন সিদ্ধান্ত নেয়, কোনো যুক্তি খুঁজে পাওয়া যায় না। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সবুজ উইকেট, আমরা ২ হাজার কিলোমিটার দূর থেকে বুঝতেছি যে একজন বাড়তি পেসার দরকার, তারা দুই পেসার নিয়ে মাঠে নেমে গেল!”

“নির্বাচক, টিম ম্যানেজমেন্ট, বোর্ড, সবার সমন্বয় দরকার। ক্রিকেটারদের দায় আছে, তবে অন্যদেরও আছে। সাফল্য যেমন সবার, ব্যর্থতার ভাগও সবার। শুধু ক্রিকেটারদের ওপর চাপিয়ে দিলে চলবে না। সব পক্ষকে দেখতে হবে, তাদের গলদ কোথায় ছিল। সেটা অনুধাবন করে শোধরানোর চেষ্টা করতে হবে।”

“আগামী বিশ্বকাপের জন্য যেমন এখন থেকেই কাজ শুরু করতে হবে, সত্যিকার অর্থেই বড় দল হয়ে উঠতে হলে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আমি তো কদিন আগেই ঘরোয়া ক্রিকেটে ম্যাচ করে এলাম (জাতীয় লিগে ম্যাচ রেফারি হিসেবে)। সেখানেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই, লড়াই নেই। মান খুব বাজে। এসব ক্রিকেট খেলে কি লাভ? ঘরোয়া ক্রিকেটের মান বাড়াতে হবে।”

কোচ ও ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ নাজমুল আবেদীন ফাহিম।

নাজমুল আবেদীন ফাহিম

(দেশের খ্যাতিমান ক্রিকেট কোচ ও বিকেএসপির ক্রিকেট উপদেষ্টা)

“শুরুতেই প্রয়োজন আত্মজিজ্ঞাসা। এই মুহূর্তে আমরা কোথায় আছি, সত্যিকারের সৎ মূল্যায়ন করে এটি বের করা জরুরি। নিজেদের সত্যিকার অবস্থা না বুঝতে পারলে আমরা সামনে এগোনোর সঠিক পথও পাব না, আগামীর প্রত্যাশাগুলো ঠিক করতে পারব না।”

“বোর্ডে আমাদের একটি রিসার্চ সেল থাকা উচিত, যারা গবেষণাধর্মী কাজ করবে। সাধারণত যেটা হয়, বোর্ডের কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে একটা কমিটি করে দেওয়া হয়, তারা নিজেদের মতো বলে দেন যে ‘ভালো খেলিনি বা অমুক-তমুক করতে হবে।’ কিন্তু এভাবে হবে না। রিসার্চ সেল থাকলে তারা সংখ্যা-ডাটা দিয়ে বাস্তবতা বোঝাবে। সেই অনুযায়ী ঘাটতিগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে।”

“একটা ব্যাপার আমার মনে হয়, নিজেদের শক্তিমত্তা সম্পর্কে আমাদের ধারণা অস্পষ্ট। এজন্যই আমরা সীমার বাইরে লক্ষ্য ঠিক করি এবং সেটি ব্যর্থ হলেই হাহুতাশ শুরু করি।”

“আমরা যদি পারফরম্যান্স ইন্ডিকেটরগুলো চিহ্নিত করতে পারি, তাহলে সেটা ধরে কাজ করা যায়। ধরি, বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে যেতে আমাদের গড়ে দশের মধ্যে আট লাগবে, আর আমার শক্তি যদি চার-পাঁচ হয়, তাহলে তো হবে না। সেভাবেই শক্তিমত্তার মূল্যায়ন করা দরকার। এই বিশ্বকাপের আগে নিজেদের শক্তিমত্তা নিয়ে ভুল ধারণা ছিল আমাদের। ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত শক্তিমত্তা নিয়ে ছিল, প্রস্তুতি নিয়ে ছিল, সবকিছু নিয়েই ভুল ধারণা ছিল। আরেকটি ব্যাপারও আমরা করিনি, প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তা ভাবিনি। এতকিছু না ভেবেই নিজেদের লক্ষ্য ঠিক করেছিলাম।”

“আমার মনে হয়, এখন একটা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নেওয়া উচিত। যেসব ক্রিকেটারদের নিয়ে আমরা এই সংস্করণ খেলছি, তাদের দিয়ে আর চলছে না। তাদেরকে অভিজ্ঞ, প্রতিভাবান, যত কিছুই বলি…ওরা একটা জায়গায় আমাদেরকে নিয়ে এসেছে। এখন সামনে তাকিয়ে আমাদের খুঁজে বের করতে হবে, কোন ক্রিকেটারদের নিয়ে আমরা কাজ করব। তারা হয়তো এখন জাতীয় দলে নেই কিংবা আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে কেউ ৬ মাস, কেউ ১ বছর বা ২ বছর দূরে আছে। তাদেরকে খুঁজে নিতে হবে।”

“এরপর ওই ছেলেদের উপযুক্ত পরিবেশ দিতে হবে। কোন আবহে, কিভাবে গড়ে তুললে ওরা প্রস্তুত হবে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সেই পরিবেশের কথা বললেই ঘরোয়া ক্রিকেট চলে আসবে।”

“আমাদের জাতীয় দলের ঠিক পরের ধাপেই আছে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট। সেখানে যে কেউ কোচ হয়ে যেতে পারে। যে কেউ ট্রেনার হয়ে যেতে পারে। জাতীয় দলে আমরা এত বিদেশি কোচ, সব সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছি। সেখানে কোচিং ও সুযোগ-সুবিধা যদি ১০ হয়, ঘরোয়া ক্রিকেটে সেটা ১! আমাদের দেশে ঘরোয়া ক্রিকেট অসম্ভব অবহেলিত একটা জায়গা। সেটা প্রথম শ্রেণির বলি, লিস্ট ‘এ’ অথবা বিপিএল।”

“বিপিএলের ক্ষেত্রে আমি মনে করি, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সুযোগ আছে, জাতীয় দল ও ক্রিকেটে অবদান রাখার। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো যদি একটু যত্ন নিয়ে দল গড়ে ও স্থানীয় ক্রিকেটারদের অনুশীলনে আরেকটু গুরুত্ব দেয়, তাহলে ভালো হয়। এখন দেখা যায়, ৪-৫ দিন অনুশীলন করেই খেলতে নেমে যায় তারা। এটা যদি ৪-৫ সপ্তাহ হয়…বিদেশি ক্রিকেটাররা শেষ দিকে আসুক, কিন্তু স্থানীয় ক্রিকেটারদের এক মাস ধরে অনুশীলন হলে ওদের জন্য দারুণ হয়। এরপর, সম্ভব হলে খেলার মধ্যে স্থানীয়দের আরেকটু গুরুত্ব দেওয়া।”

“বিপিএলের আগে একটি ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগ করা উচিত, ছোট করে হলেও। তাহলে সেখান থেকে এই সংস্করণের উপযোগী ক্রিকেটার বেরিয়ে আসবে, বিপিএলে সুযোগ পাবে। নতুনদের সুযোগ করে দেওয়ার ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে।”

“জাতীয় দলের কোচিং স্টাফের মনিটরিং খুব জরুরি। কোচ হিসেবে যারা আসেন, কেউ অবশ্যই খারাপ নয়। অনেক অভিজ্ঞতা, সাফল্য নিয়েই আসেন। কিন্তু সবাই সব দেশের ক্রিকেটে কার্যকর হবে না। কোচ আসার পর তাকে মূল্যায়ন করা, নির্দিষ্ট সময় পরপর অবস্থা বিবেচনা করা উচিত। সে যা বলবে, যা চাইবে, সবই তো ঠিক নয়।”

“আমরা জিতলে খুব খুশি হই। হারলে খুব রাগারাগি করি। কিন্তু সাধারণ প্রক্রিয়াগুলো ঠিক রাখি না। কোচিং স্টাফের মূল্যায়ন এটিরই অংশ। জবাবদিহিতার জায়গা থাকতে হবে যেন ধাপে ধাপে সে কাজগুলি ঠিকঠাক করতে পারছে কিনা। ৬ মাস বা ১ বছরে যে জায়গায় দলের থাকার কথা, কোনো কোচের সময় সেই উন্নতি ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা।”

“এই যেমন ড্যানিয়েল ভেটোরিকে এনেছিলাম আমরা, কতটুকু লাভ হয়েছে ক্রিকেটের? ভেটোরি গ্রেট ক্রিকেটার, ঠিক আছে। কিন্তু তাকে দিয়ে আমাদের লাভ কতটুকু হয়েছে, সেটির মূল্যায়ন কি হয়েছে? আমাদের স্পিনাররা আগে যা ছিল, ভেটোরিকে আনার পর কতটুকু উন্নতি করেছে তারা, গড়-স্ট্রাইক রেট-ইকোনমি কত ভালো হয়েছে, সেটা খতিয়ে দেখা হয়েছে?”

“আসলে পদক্ষেপের শেষ নেই। যা বললাম, এসব মিলিয়েই সবকিছু করতে হবে।”

সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ।

খালেদ মাসুদ

(সাবেক অধিনায়ক ও দেশের সবসময়ের সেরা উইকেটকিপারদের একজন)

“এই বিশ্বকাপের পর টি-টোয়েন্টি নিয়ে এখন দুটি পরিকল্পনা করা উচিত। একটি স্বল্পমেয়াদী, যেহেতু আরেকটি বিশ্বকাপের এক বছরও নেই। আরেকটি দীর্ঘমেয়াদী, যেটি আমাদের ভালো একটি টি-টোয়েন্টি দল হিসেবে গড়ে তুলবে।”

“পরের বিশ্বকাপের জন্য ২৫-৩০ জনের একটি পুল তৈরি করা জরুরি। মোটামুটি এখান থেকেই আগামী বিশ্বকাপে দল গড়া হবে। নির্বাচকরা দেখবেন, কোন পজিশনের জন্য কোন ধরনের ক্রিকেটার কতজন রাখা হবে। তারপর তাদের খুব ভালো ট্রেনিং করানো, প্রচুর ম্যাচ খেলানো এবং টানা প্রক্রিয়ার ভেতর রাখতে হবে।”

“প্রশ্ন হতে পারে, রসদ আমাদের কতটা আছে? সত্যি বলতে খুব বেশি নেই। পাইপলাইন তখনই ভালো হবে, যখন সেখানে মোবিল দিবেন ঠিকমতো। মোবিল না দিলে তো কাজ করবে না। আমাদের সিস্টেমের কারণেই পাইপলাইন ভালো নয়। আবার, যেসব ক্রিকেটার আগে ছিল, এসেছে জাতীয় দলে, কিছুদিন খেলে বাদ পড়েছে, তাদের ঘাটতিগুলো কাটানো নিয়ে কাজ করা বা পরে আবার সুযোগ দেওয়া, সেসবও হয়নি। সব মিলিয়ে শূন্যতা তৈরি হয়েছে। তবে থেমে থাকলে তো হবে না। কাজ করতে হবে। যারা ভালো আছে, তাদেরকেই গড়ে তুলতে হবে।”

“কোচিং স্টাফদের ম্যানেজমেন্টও খুব জরুরি। টাইম টু টাইম মনিটর করতে হবে, তারা ঠিকপথে আছেন কিনা। টার্গেট পূরণ করতে পারছেন না। কেমন কোচিং করাচ্ছেন, মানুষ হিসেবে কেমন, দলের সঙ্গে কতটা একাত্ম হতে পারছেন, ট্রেনিং কেমন করাচ্ছে, এসব নিয়মিত দেখভাল করা উচিত বোর্ডের প্রধান নির্বাহী ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের।”

“আরেকটা ব্যাপার হলো, জাতীয় দলে দেশি কোচিং স্টাফ রাখা উচিত কোনো একটা ক্যাপাসিটিতে। বিদেশি স্টাফরা তাদের মতো করে কাজ করবেন টেকনিক্যাল বা ট্যাকটিক্যাল দিক নিয়ে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, তারা ব্যক্তিগতভাবে ততটা সম্পৃক্ত হন না। আমাদের ক্রিকেটারদের ধরন অন্যরকম। বিশেষ করে খারাপ সময়ে, তাদেরকে ব্যক্তিগতভাবে বুঝে চাঙা করা জরুরি। একেক ক্রিকেটারের জন্য একেক ওষুধ দরকার হয়। এটা বিদেশিরা পারবেন না, দেশি স্টাফরা করতে পারেন।”

“লম্বা পরিকল্পনায় থাকবে অবকাঠামো গড়া, ম্যানেজমেন্ট ঠিক করা, মাঠ-উইকেট, ক্রিকেটার, সব মিলিয়ে সংস্কৃতি গড়ে তোলা। শুধু টি-টোয়েন্টি নয়, দেশের ক্রিকেটের সার্বিক অবস্থাই বলছি। একটা সময় ছিল, কোনোভাবে ক্রিকেট চালিয়ে নেওয়া যেত। এখনকার বাস্তবতা ভিন্ন। চারপাশে তাকিয়ে দেখুন, ক্রিকেট কত বদলে গেছে এবং কত দ্রুত বদলাচ্ছে!”

“যে ক্ষেত্রগুলোর কথা বললাম, সবগুলির ক্ষেত্রেই বিশেষজ্ঞদের নিয়ে পরিকল্পনা করে সে অনুযায়ী কাজ করে একটা পর্যায়ে দেশের ক্রিকেটকে নিতে হবে।”