পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতেও সাকিবের খেলা নিয়ে শঙ্কা

বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের বাংলাদেশ দলে পরিবর্তন কতটা হবে, সেটা বলে দেবে সময়ই। তবে চোটের কারণে এই সিরিজে মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন থাকছেন না নিশ্চিতভাবেই। প্রবল শঙ্কা আছে সাকিব আল হাসানকে পাওয়া নিয়েও।

ব্যর্থ বিশ্বকাপ অভিযান শেষে শুক্রবার দুই ভাগে দেশে ফিরছে বাংলাদেশ দল। দুবাই বিমানবন্দরে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরি কথা বলেন দলের চোটাক্রান্তদের মাঠে ফেরা নিয়ে।

“সাকিবের অন্তত ৩ সপ্তাহ সময় লাগবে সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরতে। টেস্ট সিরিজে তিনি খেলতে পারেন। ৬ সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে সাইফ উদ্দিনকে। নুরুল হাসান সোহানকে পাওয়া নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই।”

বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে শ্রীলঙ্কার প্রথম ম্যাচের পর পিঠের চোটে ছিটকে যান পেস বোলিং অলরাউন্ডার সাইফ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচের মাঝপথে হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লাগে সাকিবের। একটু সময় বাইরে চলে গিয়ে আবার মাঠে ফিরে যদিও ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সবই করেন তিনি। তবে এরপর ছিটকে যান বিশ্বকাপ শেষে।

ইংল্যান্ড ম্যাচের আগের দিন তাসকিন আহমেদের বল লাগে সোহানের তলপেটে। পরদিন এই কিপার-ব্যাটসম্যান খেললেও ছিলেন না শেষ দুই ম্যাচে।

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজটি হবে ১৯, ২০ ও ২২ নভেম্বর। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্ট শুরু ২৬ নভেম্বর। দ্বিতীয় টেস্ট মিরপুরে শুরু ৪ ডিসেম্বর।

সাইফ দেশের হয়ে খেলেন কেবল সাদা বলের ক্রিকেট। সোহান ক্যারিয়ারের তিন টেস্টের শেষটি খেলেছেন ২০১৮ সালে। ফিট থাকলে সাকিব তিন সংস্করণেই দলে অপরিহার্য। গত জুলাইয়ে খেলেছেন দেশের সবশেষ টেস্টেও।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হার দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শেষ করার পর দীর্ঘদিন জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকায় মানসিক অবসাদের কথা বলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক জানালেন, ক্রিকেটারদের এ থেকে মুক্ত রাখতে ব্যবস্থা নিচ্ছেন তারা।

“এখন ক্রিকেটাররা ছুটি কাটাচ্ছেন। জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকার সময় কারও প্রয়োজন হলে আলাদা করে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে।”