ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলার তৃপ্তি আসালাঙ্কার

মাত্র তিনটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে বিশ্বকাপে পা রেখেছিলেন চারিথ আসালাঙ্কা। ব্যাট হাতে ক্যারিয়ারের প্রথম বৈশ্বিক আসরটা তার কাটল দারুণ। শেষ ম্যাচেও দলের জয়ে রাখলেন বড় অবদান। এতেই যেন বেশি ভালো লাগা কাজ করছে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের মধ্যে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Nov 2021, 08:57 PM
Updated : 4 Nov 2021, 08:57 PM

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে বৃহস্পতিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচের আগেই সেমি-ফাইনালের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায় শ্রীলঙ্কার। তারপরও শেষটা তারা রাঙাল দারুণভাবে; এই সংস্করণের বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২০ রানে হারিয়ে। এতে টুর্নামেন্ট থেকে ক্যারিবিয়ানদের বিদায়ও নিশ্চিত হয়ে গেছে।

আবু ধাবিতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রানের বড় পুঁজি গড়ে শ্রীলঙ্কা। যেখানে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন আসালাঙ্কা। তিন নম্বরে নেমে তিনি খেলেন ৪১ বলে ৮ চার ও এক একটি ছক্কায় সর্বোচ্চ ৬৮ রানের দারুণ ইনিংস। দ্বিতীয় উইকেটে পাথুম নিসানকার সঙ্গে ৬১ বলে ৯১ রান ও তৃতীয় উইকেটে দাসুন শানাকার সঙ্গে গড়েন ১৯ বলে ৪৬ রানের জুটি।

পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে উইকেটে যান আসালাঙ্গা। মুখোমুখি হওয়া তৃতীয় বলেই চার মারেন আন্দ্রে রাসেলকে। ফিফটি করেন মাত্র ৩৩ বলে। শেষের আগের ওভারে রাসেলের বলেই ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে থামেন তিনি। দারুণ ইনিংসটিই তাকে এনে দেয় ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

আসরে ছয় ম্যাচ খেলে আসালাঙ্কা ফিফটি করলেন দুটি। দুটিতেই পেলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। বাংলাদেশের বিপক্ষে রান তাড়ায় খেলেছিলেন ৪৯ বলে ৫টি করে চার-ছক্কায় অপরাজিত ৮০ রানের বিস্ফোরক ইনিংস।

আসর থেকে বিদায় নেওয়ার সময় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় সবার ওপরে আছেন তিনিই। ৬ ইনিংসে ৪৬.২০ গড় ও ১৪৭.১৩ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ২৩১ রান।

গত জুলাইয়ে কলম্বোতে ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেকে তিনি খেলেছিলেন ২৬ বলে ৪৪ রানের ঝড়ো ইনিংস। পরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচে অবশ্য ভালো করতে পারেননি। এরপরই বিশ্বকাপের এই পারফরম্যান্স।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিয়ে ২৪ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বললেন, সামনে এভাবেই দেশের হয়ে ম্যাচ জিততে চান আরও।

“দেশের হয়ে হাফ সেঞ্চুরি করা এবং ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলা সবসময়ই আনন্দের। এই বিশ্বকাপের আগে আমি খুব বেশি (আন্তর্জাতিক) টি-টোয়েন্টি খেলিনি। সিনিয়র খেলোয়াড়দের কাছ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে জেনেছি এবং দিনে দিনে আরও ভালো করতে চেয়েছি।”

“জাতীয় দলে আসার জন্য আমি পাঁচ বছর অপেক্ষায় ছিলাম এবং কঠোর পরিশ্রম করেছি। এখন প্রতিদান দেওয়ার সময়। আমি কঠোর পরিশ্রম করে যেতে চাই, দেশের হয়ে আরও ম্যাচ জিততে চাই।”

আসালাঙ্কার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় এ বছরই, গত জুনে ইংল্যান্ড সফরে ওয়ানডে দিয়ে। প্রথম ম্যাচে অবশ্য আউট হন শূন্য রানে। পরে দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফিফটি করেন পরপর দুই ম্যাচে। জেতেন সিরিজ সেরার পুরস্কার।

এখন পর্যন্ত তিনি ৮ ওয়ানডে ম্যাচে তিন ফিফটিতে ৪০.৭৫ গড়ে করেছেন ৩২৬ রান। ৯ টি-টোয়েন্টিতে দুই ফিফটিতে রান ২৯৫, গড় ৩৬.৮৭ ও স্ট্রাইক রেট ১৩২.৮৮।