উত্তর খুঁজছেন অধিনায়ক নিজেও

ব্যাটসম্যানদের ব্যাটে নেই রান, বোলিংয়ে নেই ততটা ধার, ফিল্ডিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ছুটেছে ক্যাচ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিন বিভাগে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের সারমর্ম এই। কেন তিন বিভাগে এমন ব্যর্থতা, কারণ অনুসন্ধান। যাদের সবচেয়ে ভালো জানা থাকার কথা, তাদের একজন, অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ জানালেন, তিনিও নিজেও খুঁজছেন উত্তর।

ক্রীড়া প্রতিবেদকদুবাই থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Nov 2021, 04:58 PM
Updated : 4 Nov 2021, 08:11 PM

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পূরণ হয়নি বাংলাদেশের একটিও লক্ষ্য। একাধিক জয় কিংবা সেমি-ফাইনালের লক্ষ্য তো অনেক দূরের ব্যাপার, কাটানো যায়নি মূল পর্বে ১৪ বছরের জয়খরা।

স্কটল্যান্ডের কাছে হার দিয়ে শুরুর পর কোনোরকমে সুপার টুয়েলভে উঠতে পারলেও পরে টুর্নামেন্ট যত এগিয়েছে, তত যেন এলোমেলো হয়ে গেছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৮৪ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচে ৭৩ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। সুপার টুয়েলভে পাঁচ ম্যাচ হেরে শূন্য হাতে দেশে ফিরছে তারা।

প্রাথমিক পর্ব ও সুপার টুয়েলভ মিলিয়ে ৮ ম্যাচ খেলেও বাংলাদেশের সর্বোচ্চ কেবল মোহাম্মদ নাঈম শেখের ১৭৪। তিনি ছাড়া দেড়শ ছাড়াতে পেরেছেন কেবল অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।

ব্যাটিংয়ের তুলনায় বোলিং একটু ভালো হয়েছে। প্রাপ্তির বেশিরভাগ জুড়ে আছেন সাকিব আল হাসান। ৬ ম্যাচ খেলে বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার নিয়েছেন ১১ উইকেট। আর কারও উইকেট যায়নি দুই অঙ্কে। বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান প্রথম দুই ম্যাচে চার উইকেট নিলেও পরে তিনি ছিলেন খরুচে। ফিল্ডাররা হাতছাড়া করেছেন ১১টি ক্যাচের সুযোগ।

জীর্ণ ব্যাটিং কিংবা হতাশার বোলিং, ফিল্ডিংয়ের কোনো ব্যাখ্যা নেই মাহমুদউল্লাহর কাছে। দুবাইয়ে বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮ উইকেটে হারার পর সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, অনেক চেষ্টায়ও পথের দেখা পাননি তারা।

“পারফরম্যান্স তো আমরা ভালো করতে পারিনি এই টুর্নামেন্টে। আমি নিজেও এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছি গত কিছু দিন ধরে যে, কী ভুল হচ্ছে বা কী করা প্রয়োজন। এক সঙ্গে বসেছি আমরা, কথা বলেছি, খোঁজার চেষ্টা করেছি যে কোথায় ঘাটতি আছে বা কী কারণে আমরা করতে পারছি না, কেন (প্রত্যাশিত) পারফরম্যান্স করতে পারছি না।”

“শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ ছাড়া পুরো আসরেই আমরা খুবই খুবই বাজে পারফরম্যান্স করেছি। দল হিসেবে এটাও খুবই হতাশাজনক যে, আমি নিজেও কিছু কিছু প্রশ্নের উত্তর জানি না। এখনও সেটা খুঁজছি। যখন আমরা দেশে যাব, তখন দেখব।”