হতাশার বিশ্বকাপ শেষ জঘন্য ব্যাটিং প্রদর্শনীতে

৮ উইকেটের বিব্রতকর হারে বিশ্বকাপ অভিযান শেষ হলো বাংলাদেশের।

আরিফুল ইসলাম রনিআরিফুল ইসলাম রনিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Nov 2021, 09:17 AM
Updated : 4 Nov 2021, 12:24 PM

দুর্দান্ত জয়ে চাঙা অস্ট্রেলিয়ার রান রেট

৭৩ রানের লক্ষ্য অস্ট্রেলিয়া পেরিয়ে গেল স্রেফ ৬.২ ওভারেই। তাসকিনের বলে বিশাল ছক্কায় মিচেল মার্শ শেষ করে দিলেন ম্যাচ।

এই ম্যাচ থেকে যা চাওয়ার ছিল, তার প্রায় সবই পেল অস্ট্রেলিয়া। ব্যাটে-বলে বাংলাদেশকে গুঁড়িয়ে শুধুপ্রত্যাশিত জয়ই নয়, রান রেটেও এক লাফে এগিয়ে গেল অনেক দূর।

এই ম্যাচের আগে অস্ট্রেলিয়ার রান রেট ছিল -০.৬২৭। এক ম্যাচেই তা বেড়ে হয়েছে এখন +১.০৩১। এই ম্যাচের আগে অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে রান রেটে বেশ এগিয়ে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা এখন পড়ে গেল পেছনে (+০.৭৪২)।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ১৫ ওভারে ৭৩ (নাঈম ১৭, লিটন ০, সৌম্য ৫, মুশফিক ১, মাহমুদউল্লাহ ১৬, আফিফ ০, শামীম ১৯, মেহেদি ০, তাসকিন ৬*, মুস্তাফিজ ৪, শরিফুল ০; স্টার্ক ৪-০-২১-২, হেইজেলউড ২-০-৮-২, ম্যাক্সওয়েল ২-০-৬-১, কামিন্স ৩-০-১৮-০, জ্যাম্পা ৪-০-১৯-৫)।

অস্ট্রেলিয়া: ৬.২ ওভারে ৭৮/২ (ওয়ার্নার ১৮, ফিঞ্চ ৪০, মার্শ ১৬*, ম্যাক্সওয়েল ০*; তাসকিন ৩.২-০-৩৬-১, মুস্তাফিজ ২-০-৩২-০, শরিফুল ১-০-৯-১)।

শরিফুলের সাফল্য

হেরে যাওয়ার আগে আরও একটি উইকেটের দেখা পেল বাংলাদেশ। বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলামকে স্লগ করার চেষ্টায় লাইন মিস করে বোল্ড ডেভিড ওয়ার্নার। আউট হলেন তিনি ১৪ বলে ১৮ রান করে।

অবশেষে একটি উইকেট

অস্ট্রেলিয়ান ওপেনারদের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়েও চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন তাসকিন আহমেদ। গতিময় দারুণ বোলিংয়ে অবশেষে সফলতাও পেলেন। তাকে উড়িয়ে মারার চেষ্টায় আউট হয়ে গেলেন অ্যারন ফিঞ্চ।

তার আগে অবশ্য বেশ তাণ্ডব চালিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক। ২০ বলে তার রান ৪০, ছক্কা ৪টি।

অস্ট্রেলিয়া ৫ ওভারে ১ উইকেটে ৫৮।

ঝড়ের বেগে পঞ্চাশ

সহজ রান তাড়ায় দ্রুতগতিতেই এগিয়ে চলেছে অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার। তাসকিনের বলে ফিঞ্চের অসাধারণ এক শটে পাওয়া ছক্কায় দলের রান ফিফটি স্পর্শ করে ৪.৩ ওভারেই।

সুযোগ হাতছাড়া

অস্ট্রেলিয়ান ওপেনারদের আগ্রাসী শুরুর পর একটি উইকেটের সুযোগ কিছুটা পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেটিও ধরা দিল না শেষ পর্যন্ত।

তাসকিন আহমেদের বলে উড়িয়ে ফ্লিক করেন অ্যারন ফিঞ্চ। স্কয়ার লেগ ফিল্ডার সীমানায় থাকলে সহজ ক্যাচ। কিন্তু সৌম্য সরকার ছিলেন একটু এগিয়ে। বলের ফ্লাইটও বুঝতে পারেননি ঠিকমতো। তাই বল যায় তার মাথার ওপর দিয়ে। মাঠের ভেতরে পড়ে এরপর ছাড়ায় সীমানা।

বোলার তাসকিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন মাঠেই।

চূড়ান্ত ব্যর্থতা

ব্যাটিং সহায়ক উইকেটেও ব্যাটিং ব্যর্থতার বিব্রতকর প্রদর্শনী বাংলাদেশের। প্রথম ওভার থেকেই নিয়মিত উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত অলআউট ৭৩ রানেই।

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর এটি। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে রান ছিল ৭০। তবে সেটা ছিল পরে ব্যাট করে। আগে ব্যাট করে এই ৭৩ রানই সর্বনিম্ন।

২০ ওভারের খেলায় ১৫ ওভারেই গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে নিজেদের সবচেয়ে কম ওভার খেলার রেকর্ডও এটি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ১৫ ওভারে ৭৩ (নাঈম ১৭, লিটন ০, সৌম্য ৫, মুশফিক ১, মাহমুদউল্লাহ ১৬, আফিফ ০, শামীম ১৯, মেহেদি ০, তাসকিন ৬*, মুস্তাফিজ ৪, শরিফুল ০; স্টার্ক ৪-০-২১-২, হেইজেলউড ২-০-৮-২, ম্যাক্সওয়েল ২-০-৬-১, কামিন্স ৩-০-১৮-০, জ্যাম্পা ৪-০-১৯-৫)।

দুর্দান্ত জ্যাম্পা

৪ ওভারে ১৯ রানে ৫ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং গুঁড়িয়ে দিলেন জ্যাম্পা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এর আগে ৪ উইকেটও ছিল না তার। সেরা বোলিং ছিল ১৪ রানে ৩ উইকেট। আজ তিনি ছাড়িয়ে গেলেন নিজেকে।

জ্যাম্পার পঞ্চম

নিজের স্পেলের শেষ বলে শরিফুল ইসলামকে ফিরিয়ে অ্যাডাম জ্যাম্পা পূর্ণ করলেন নিজের পঞ্চম উইকেট। গুটিয়ে দিলেন বাংলাদেশের ইনিংসও। ৭৩ রানেই অলআউট বাংলাদেশ।

সীমানায় ধরা মুস্তাফিজ

অ্যাডাম জ্যাম্পার ভাসিয়ে দেওয়া বল উড়িয়ে সীমানা ছাড়া করার চেষ্টা করেন মুস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু মারে জোর হয়নি যথেষ্ট। লং অনে ক্যাচ নেন স্টিভেন স্মিথ।

৪ রানেই আউট মুস্তাফিজ।

এবার থামলেন মাহমুদউল্লাহও

একপ্রান্তে অনেকটা সময় উইকেট আগলে রাখা মাহমুদউল্লাহও পারলেন না শেষ পর্যন্ত টিকতে। নতুন স্পেলে ফিরেই বাংলাদেশ অধিনায়ককে ফেরালেন মিচেল স্টার্ক।

বলটি অবশ্য ছিল বেশ বাজে। রাউন্ড দা উইকেটে এসে লেগ স্টাম্পের বাইরে করেন স্টার্ক। মাহমুদউল্লাহ গ্ল্যান্স করার চেষ্টায় কেবল হালকা ব্যাট ছোঁয়াতে পারেন বলে। উইকেটের পেছনে দারুণ ক্যাচ নেন ম্যাথু ওয়েড।

১৮ বলে ১৬ রান করে আউট বাংলাদেশ অধিনায়ক। দলের রান ১২.২ ওভারে ৮ উইকেটে ৬৪।

এলেন ও গেলেন মেহেদি

আগের ম্যাচে বিপর্যয়ে দাঁড়িয়ে খানিকটা লড়াই করা শেখ মেহেদি হাসান এবার পারলেন না। আউট হয়ে গেলেন প্রথম বলেই।

জ্যাম্পার লেংথ বল পুল করার চেষ্টা করেন মেহেদি। কিন্তু বলটি ছিল স্কিড করা গুগলি, দ্রুতগতিতে গিয়ে ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে লাগে প্যাডে। আম্পায়ার আঙুল তুলে দেন। মেহেদি বাঁচতে পারেননি রিভিউ নিয়ে।

বাংলাদেশ ১১ ওভারে ৭ উইকেটে ৬২।

শামীমের সমাপ্তি

সম্ভাবনাময় ইনিংসটি বড় ইনিংসে রূপ দিতে পারলেন না শামীম হোসেন। অ্যাডাম জ্যাম্পার বল জায়গা বানিয়ে কাট করতে গিয়ে পারলেন না ঠিকমতো। তার ব্যাটের কানায় লেগে বল আশ্রয় নিল কিপারের গ্লাভসে।

১৮ বলে ১৯ রানে শেষ শামীম। বাংলাদেশ ১০.৫ ওভারে ৬ উইকেটে ৬২।

খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে অর্ধেক পথ

প্রথম ওভার থেকে নিয়মিত উইকেট হারিয়ে কোনোরকমে ১০ ওভার পার করতে পারল বাংলাদেশ। রান ৫ উইকেটে ৫৮।

১২ বলে ১২ রানে খেলছেন মাহমুদউল্লাহ, ১৭ বলে ১৯ শামীম।

বাংলাদেশের ফিফটি

অ্যাডাম জ্যাম্পার বলে স্লগ সুইপে শামীম হোসেনের ছক্কায় বাংলাদেশের রান স্পর্শ করল পঞ্চাশ। ৮.২ ওভারে এলো দলের পঞ্চাশ।

আগের ওভারে স্টার্কের স্লোয়ারেও দারুণ শটে চার মারেন শামীম।

শূন্যতে শেষ আফিফ

পাওয়ার প্লে শেষেও স্বস্তি নেই বাংলাদেশের। অ্যাডাম জ্যাম্পা আক্রমণে এসে প্রথম বলেই ফিরিয়ে দিলেন আফিফ হোসেনকে।

বাঁহাতি আফিফকে প্রথম বলটিই জ্যাম্পা করেন গুগলি। ভাসিয়ে দেওয়া ব্যাটসম্যানকে প্রলুব্ধ করে ড্রাইভ খেলতে। আফিফ পা দেন ফাঁদে। কিন্তু পিচ করে বল পেরিয়ে যায় বাইরে। ব্যাটের কানায় লেগে সহজ ক্যাচ স্লিপে অ্যারন ফিঞ্চের হাতে।

৪ বলে ০ রানে আউট আফিফ। বাংলাদেশ ধুঁকছে ৬.১ ওভারে ৩৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে।

নতুন ব্যাটসম্যান শামীম হোসেন।

পাওয়ার প্লেতেই বিধবস্ত

প্রথম ৩ ওভারে ৩ উইকেটের পর পাওয়ার প্লের পরের ২ ওভার স্বস্তিতে পার করতে পারে বাংলাদেশ। প্যাট কামিন্সের এক ওভারে দুটি চার মারেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। মিচেল স্টার্কের বলে দুর্দান্ত পুল শটে চার মারার পর মাহমুদউল্লাহ আরেকটি বাউন্ডারি পান ব্যাটের কানায় লেগে।

এরপর ষষ্ঠ ওভারে হেইজেলউডের বলে দৃষ্টিনন্দন স্ট্রেট ড্রাইভে চার মারেন নাঈম। কিন্তু আউট হয়ে যান ওই ওভারেই। সব মিলিয়ে পাওয়ার প্লেতেই বাংলাদেশের টপ অর্ডার ধ্বংস। ৬ ওভারে রান ৪ উইকেটে ৩৩।

এবার বিদায় নাঈমের

শুরুটা ভালো করেও শেষ পর্যন্ত দলকে টানতে পারলেন না মোহাম্মদ নাঈম শেখ। ষষ্ঠ ওভারে জশ হেইজেলউডের বলে দারুণ এক স্ট্রেট ড্রাইভে চার মারলেও আউট হয়ে গেলেন এই ওভারেই।

হেইজেলউডের লেংথ ডেলিভারিতে অনেকটা স্লগের মতো করে পুল করার চেষ্টা করেন নাঈম। কিন্তু বল তার প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুততায় আসে ব্যাটে। পুল শটের মৌলিক কাজ যেটি, ব্যাট ওপর থেকে নিচে নামানো, সেটিও করতে পারেননি নাঈম। বরং নিচ থেকে বল তোলার চেষ্টা করেন ওপরে। সহজ ক্যাচ যায় স্কয়ার লেগ ফিল্ডারের হাতে।

১৬ বলে ১৭ করে আউট নাঈম। বাংলাদেশ ৫.৩ ওভারে ৪ উইকেটে ৩২।

টিকলেন না মুশফিকও

৩ ওভার, ৩ উইকেট! এবার আক্রমণে স্পিন এনেই সাফল্য। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল উইকেটের দেখা পেলেন নিজের প্রথম ওভারেই।

মূলত বাঁহাতি নাঈমের জন্য ম্যাক্সওয়েলের অফ স্পিন আনেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। তবে ম্যাক্সওয়েল আউট করে দিলেন ডানহাতি মুশফিকুর রহিমকে।

বলটি এমন দারুণ কিছু ছিল না। অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করা বল টার্ন করে ভেতরে ঢোকে। মুশফিক শাফল করে ফ্লিক করার চেষ্টা করেন। কিন্তু মিস করেন লাইন, বল লাগে প্যাডে। অস্ট্রেলিয়ানদের আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। রিভিউ নেননি মুশফিক। নিলেও লাভ হতো না।

নিজের ৯৯তম টি-টোয়েন্টিতে মুশফিক আউট ২ বলে ১ রান করেই। বাংলাদেশ ২.৫ ওভারে ৩ উইকেটে ১০।

নতুন ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ।

এবার গেলেন সৌম্য

প্রথম ওভারে লিটনের বিদায়ের পর দ্বিতীয় ওভারে আউট সৌম্য সরকার। লিটনের মতো তিনিও ‘প্লেড অন।’ ২ ওভারে ২ উইকেট তুলে নিল অস্ট্রেলিয়া।

ওভারের তৃতীয় বলে জশ হেইজেলউডের লেংথ বলে পুলের মতো খেলে চার পেয়েছিলেন সৌম্য। ওভারের শেষ বলটিও ছিল লেংথ ডেলিভারি। তবে লাইন আঁটসাঁট। জায়গা দেননি বোলার। সৌম্য জায়গায় দাঁড়িয়ে থার্ডম্যানে খেলার চেষ্টা করেন। একটু বাড়তি লাফানো বল ব্যাটে লেগে ছোবল দেয় স্টাম্পে।

৮ বলে ৫ করে আউট সৌম্য। বাংলাদেশ ২ ওভারে ২ উইকেটে ৬।

উইকেটে নাঈমের সঙ্গী মুশফিকুর রহিম।

গোল্ডেন ডাক লিটন

খেলা শুরুর হওয়ার পরপরই বাংলাদেশের ভোগান্তিও শুরু। প্রথম ওভারেই হারাতে হলো উইকেট। নিজের খেলা প্রথম বলেই আউট লিটন কুমার দাস।

মিচেল স্টার্ক একদম প্রথম বল থেকেই খুঁজে পান ছন্দ। ম্যাচের প্রথম বলটি খেলেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। দ্বিতীয় বলে তিনি কোনোরকমে বল ঠেকিয়ে সিঙ্গেল নেন। পরের বলেই উইকেট। ফুল লেংথ বলে স্রেফ জায়গায় দাঁড়িয়ে ব্যাট দিয়ে থামানোর চেষ্টা করেন লিটন। ব্যাটের কানায় লেগে বল আসে স্টাম্পে। আত্মবিশ্বাসের তলানিতে থাকা এক ব্যাটসম্যানের শট।

বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ১।

এক পরিবর্তন অস্ট্রেলিয়ারও

আগের ম্যাচে মিচেল মার্শকে বাইরে রাখায় তুমুল সমালোচনার শিকার হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার টিম ম্যানেজমেন্ট। এই ম্যাচে আবার তার একাদশে ফিরিয়েছে মার্শকে। বাদ পড়তে হয়েছে স্পিনিং অলরাউন্ডার অ্যাশটন অ্যাগারকে।

অস্ট্রেলিয়া একাদশ: অ্যারন ফিঞ্চ (অধিনায়ক), ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভেন স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টয়নিস, মিচেল মার্শ, ম্যাথু ওয়েড, প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, অ্যাডাম জ্যাম্পা, জশ হেইজেলউড।

একাদশে মুস্তাফিজ

বাংলাদেশের একাদশে পরিবর্তন একটি। বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ হারিয়েছেন জায়গা। তার বদলে ফেরানো হয়েছে বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে।

অনুশীলনে চোট পাওয়া নুরুল হাসান সোহান নেই এই ম্যাচেও। জায়গা ধরে রেখেছেন শামীম হোসেন।

বাংলাদেশ একাদশ: মোহাম্মদ নাঈম শেখ, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, শামীম হোসেন, শেখ মেহেদি হাসান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান।
টস জয় অস্ট্রেলিয়ার

মুদ্রা নিক্ষেপে ভাগ্যকে পাশে পেলেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। নুমিতভাবেই তিনি বেছে নিলেন বোলিং। উইকেট তার কাছে বেশ ব্যাটিং সহায়ক বলেই মনে হচ্ছে।

বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর চাওয়া, ভালো স্কোর গড়া। নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে না পারা নিয়ে আক্ষেপ করে তিনি বললেন, শেষটা ভালো করতে চান।

ব্যাটিং সহায়ক উইকেট

বুধবার নিউ জিল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড ম্যাচ যে উইকেটে হয়েছে, সেখানেই হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ। কিউইদের ১৭২ রান তাড়ায় স্কটিশরা করেছিল ১৫৬। ম্যাচের পর স্কটিশ অধিনায়ক কাইল কোয়েটজার বলেছিলেন, এই বিশ্বকাপে তার খেলা সেরা ব্যাটিং উইকেট সেটি।

এই ম্যাচের পিচ রিপোর্টে ধারাভাষ্যকার মাইক আথারটন বললেন, এ দিনও উইকেট দারুণ ব্যাটিং সহায়ক। বল ব্যাটে আসবে, শট খেলা যাবে ভালোভাবে। আরেক ধারাভাষ্যকার ডেল স্টেইনের মতে, শুরুতে পেসারদের জন্যও সহায়তা কিছুটা থাকবে। তবে মূলত, ব্যাটসম্যানদের পক্ষেই কথা বলবে উইকেট।

মিরপুর থেকে দুবাই

মাস তিনেক আগে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশের কাছে উড়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। মন্থর, টার্নিং ও ভীষণ ব্যাটিং দুরূহ উইকেটে খাবি খেয়েছিল অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা। তবে লড়াইটা এবার ভিন্ন মঞ্চে, ভিন্ন প্রেক্ষাপটে। বাংলাদেশ সফরে ছিলেন না অস্ট্রেলিয়ার মূল ক্রিকেটারদের বেশ কজন। এবার আছেন সবাই।

বাংলাদেশ সফর করে যাওয়া স্পিনার অ্যাশটন অ্যাগার এবার ম্যাচের আগের দিনই বলে দিয়েছেন, মিরপুরের মতো চিত্র দুবাইয়ে দেখা যাবে না।

শেষ ভালোর আশা

‘শেষ ভালো যার, সব ভালো তার’-এই বিশ্বকাপের বাংলাদেশকে নিয়ে এরকম কিছু বলার উপায় নেই। বরং হতাশার বিশ্বকাপ এখন যেন শেষ হলেই বাঁচা যায়! তবে শেষটা ভালো করে কিছুটা স্বস্তি নিয়ে দেশে ফেরার সুযোগ এখনও আছে।

জিততে পারলে র‌্যাঙ্কিংয়ে একটু ওপরে উঠে আগামী বিশ্বকাপর সুপার টুয়েলভে সরাসরি খেলার সুযোগ থাকবে বাংলাদেশের।

কাজটা যদিও সহজ নয়। সেমি-ফাইনালের পথে এগিয়ে যেতে অস্ট্রেলিয়ার এই ম্যাচে জয় জরুরি। বড় ব্যবধানে জিতে রান রেটও বাড়াতে চাইবে তারা। কাজেই বাংলাদেশকে গুঁড়িয়ে দিতেই চাইবেন অ্যারন ফিঞ্চরা।