অশ্বিনের এই দ্বিতীয় শুরু আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের ম্যাচে। আবু ধাবিতে বুধবার আগ্রাসী আফগান ব্যাটসম্যানদের বোতলবন্দি করে রেখে ৪ ওভারে কেবল ১৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন এই অফ স্পিনার।
এই ম্যাচ দিয়ে প্রায় সাড়ে চার বছর পর ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেললেন অশ্বিন! মাঝের সময়টায় যুজবেন্দ্র চেহেল, কুলদিপ যাদব, রবিন্দ্র জাদেজারা টানা খেলে যান। অশ্বিনকে রাখা হয় অনেক দূরে। তার টি-টোয়েন্টি বোলিংয়েও সামর্থ্যও প্রশ্নব্ধি হয়। তবে এবারের আইপিএলে দুর্দান্ত বোলিং করে আবার তিনি ফেরেন জাতীয় দলে, জায়গা করে নেন বিশ্বকাপ স্কোয়াডে। টি-টোয়েন্টির দাবি মেটাতে বোলিংয়ে অনেক বৈচিত্রও যোগ করেন।
বিশ্বকাপেও প্রথম দুই ম্যাচে একাদশে সুযোগ হয়নি তার। অবশেষে বরুন চক্রবর্তির চোটে আফগানদের বিপক্ষে মেলে বহু কাঙ্ক্ষিত সেই সুযোগ। কাজে লাগাতে একটুও সময় নেননি ৩৫ বছর বয়সী স্পিনার।
এই ম্যাচে ভারতের ইতিবাচক প্রাপ্তি ছিল অনেক কিছু। রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুলের দারুণ দুটি ইনিংস ও ১৪০ রানের জুটি, রিশাভ পান্ত ও হার্দিক পান্ডিয়ার বিধ্বংসী ব্যাটিং, মোহাম্মদ শামির নতুন বলের বোলিং এবং আরও বেশ কিছু। তবে ম্যাচ শেষে ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে যখন কোহলিকে জিজ্ঞেস করলেন, ম্যাচে কোনটি তার সবচেয়ে ভালো লেগেছে, ভারতীয় অধিনায়ক বেছে নিলেন অশ্বিনের ফেরাকে।
“আমি বলব, দা রিটার্ন অব অ্যাশ (সবচেয়ে সন্তুষ্টির)… এটির জন্য সে অনেক পরিশ্রম করেছে। এই ধরনের নিয়ন্ত্রণ ও সামর্থ্য সে আইপিএলেও দেখিয়েছে এবং সেখানে আগ্রাসী ব্যাটসম্যানদের সামলেছে। ওকে ফিরতে দেখে এবং দারুণ ছন্দে দেখে তাই আমি সত্যিই খুশি। কারণ, সে যদি মাঝের ওভারগুলোয় লাগাম নিতে পারে (দলের জন্য দারুণ)… সে উইকেট শিকারি ও স্মার্ট বোলার। ওকে দেখেই সবচেয়ে বেশি খুশি।”