রোহিতের ‘দুই শটেই’ এলোমেলো রশিদের বোলিং ফিগার

৪ ওভারে ৩৬ রান এমনিতে টি-টোয়েন্টিতে বড় ব্যাপার নয়। সেরা বোলারদেরও হরহামেশা এমন রান গুনতে হয়। তবে বোলারের নাম যখন রশিদ খান, খানিকটা কৌতূহল তখন জাগে বটে। অন্যদের জন্য যেটা স্বাভাবিক, তার জন্য তো সেটাই অস্বাভাবিক। আফগান এই লেগ স্পিনার অবশ্য বলছেন, স্রেফ দুটি শটেই বিবর্ণ হয়ে গেছে তার বোলিং ফিগার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Nov 2021, 06:22 AM
Updated : 4 Nov 2021, 08:28 AM

বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে রান উৎসব করে জয়ের ম্যাচে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা ছাড় দেননি রশিদকেও। ২১০ রান তুলে বিরাট কোহলির দল ম্যাচ জিতে নেয় ৬৬ রানে। আফগান বোলিং আক্রমণের মূল অস্ত্র রশিদ ওভারপ্রতি ৯ রান করে দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন।

আবু ধাবিতে এই ম্যাচে বুধবার প্রথম ওভারে ৬ রান দেন রশিদ। পরের ওভারে লোকেশ রাহুল ও রোহিত শর্মা আরেকটু আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে নেন ১১ রান। সবচেয়ে খরুচে ওভারটি হয় রশিদের তৃতীয় ওভার। প্রথম চার বলে সিঙ্গেলের পর শেষ দুই বলে দুটি ছক্কা মারেন রোহিত।

দুটি বলই ছিল গুগলি। প্রথমটিতে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে দারুণ টাইমিং ও ব্যাট সুইংয়ে ছক্কায় ওড়ান রোহিত। পরেরটি গুগলি করলেও ঠিক লাইনে রাখতে পারেননি রশিদ। হাঁটুগেড়ে স্কয়ার লেগ দিয়ে উড়িয়ে সীমানা ছাড়া করেন রোহিত।

রোহিত আউট হয়ে যাওয়ার পর অবশ্য নিজের শেষ ওভারে রশিদ খান দেন মাত্র ৩ রান।

তার পরও ৪ ওভারে ৩৬ রান রশিদের নামের পাশে বেমানান। ১১ ম্যাচ পর টি-টোয়েন্টিতে ৩০ রানের বেশি হজম করলেন তিনি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারেই এর চেয়ে বেশি রান দিয়েছেন মোটে তিনবার, সবশেষটি সাড়ে তিন বছর আগে।

ম্যাচ শেষে রশিদ অবশ্য বললেন, ওই ছক্কার দুটি বল সামলে নিতে পারলেই তার বোলিং ফিগার খুব ভালো থাকত।

“আমার মনে হয়, স্রেফ দুটি বলই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। একটিতে সে (রোহিত) দারুণ শট খেলেছে, আরেকটি আমি বাজে বল করেছি। ওই দুটি ছক্কা না হলে আমার ওভারপ্রতি রান হতো সাড়ে পাঁচ। পার্থক্য ওখানেই হয়ে গেছে।”

“উইকেট স্পিনারদের জন্য কঠিন ছিল। এই কন্ডিশনে সাধারণত এরকম (ব্যাটিং সহায়ক) উইকেট পাওয়া যায় না। খুব বেশি স্পিন করেনি। তার পরও অবশ্য অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো উচিত। কিন্তু ওরা খুব ভালো শুরু পায়। ওপেনাররাই যখন মাঝের ওভারগুলোতেও ব্যাট করতে থাকে, তখন স্পিনারদের জন্য কাজটা কঠিন হয়ে ওঠে। তবে মূল পার্থক্য ওই দুটি শটে, দুই ছক্কায়।”