আইসিসির বুধবার প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ের হালনাগাদে ইংল্যান্ডের দাভিদ মালানকে টপকে যান বাবর। আর দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার তাবরাইজ শামসিকে পেছনে ফেলে চূড়ায় ওঠেন হাসারাঙ্গা।
গত শুক্রবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৫১ রান করেন বাবর। মঙ্গলবার নামিবিয়ার বিপক্ষে খেলেন ৭০ রানের ইনিংস। এর আগে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে অপরাজিত ছিলেন তিনি ৬৮ রান করে।
ব্যাট হাতে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এ নিয়ে ষষ্ঠবার শীর্ষে উঠলেন তিনি। সর্বপ্রথম চূড়ায় উঠেছিলেন ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে। ওয়ানডের শীর্ষ ব্যাটসম্যানও এখন বাবর।
বাবরকে ছাড়িয়েই গত বছরের নভেম্বর থেকে শীর্ষস্থানে ছিলেন মালান। একের পর এক দারুণ সব ইনিংস উপহার দিয়ে পাকিস্তান ব্যাটসম্যান এখন এগিয়ে গেছেন অনেকটাই। এখন তার রেটিং পয়েন্ট ৮৩৪, বেশ পেছনে পড়ে যাওয়া মালানের ৭৯৮।
এটা অবশ্য বাবরের ক্যারিয়ার সেরা রেটিং পয়েন্ট নয়। ২০১৯ সালের মে মাসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৬৫ রানের ইনিংসের সুবাদে পাওয়া ৮৯৬ রেটিং পয়েন্ট তার সর্বোচ্চ।
মালান শীর্ষস্থান হারালেও ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার উন্নতি করেছেন র্যাঙ্কিংয়ে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সেঞ্চুরি করে জস বাটলার এগিয়েছেন ৮ ধাপ। ক্যারিয়ার সেরা নবম স্থানে আছেন এই কিপার-ব্যাটসম্যান। আর জেসন রয় ৫ ধাপ এগিয়ে এখন ১৪ নম্বরে। আর ৩ ধাপ উঠে তৃতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বল হাতে নিয়মিত আলো ছড়াচ্ছেন হাসারাঙ্গা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন উইকেট নেন লঙ্কান এই লেগ স্পিনার। আসরের এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৪ উইকেট তার।
দারুণ এই পারফরম্যান্স তাকে এনে দিয়েছে ক্যারিয়ার সেরা র্যাঙ্কিং। গত এপ্রিল থেকে শীর্ষে থাকা শামসিকে টপকে গেছেন তিনি।
র্যাঙ্কিংয়ের সেরা চার বোলারের বাকি দুইজনও রিস্ট স্পিনার। আফগানিস্তানের রশিদ খানকে চারে নামিয়ে তিনে উঠে গেছেন ইংল্যান্ডের আদিল রশিদ। ক্যারিয়ার সেরা ৭৩০ রেটিং পয়েন্ট পেয়েছেন এই লেগ স্পিনার।
টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে সেরা দশে স্পিনারদের রাজত্বের মাঝে আছেন দুই পেসার। দক্ষিণ আফ্রিকার আনরিক নরকিয়া ১৮ ধাপ এগিয়ে এখন সপ্তম স্থানে। আর ইংল্যান্ডের ক্রিস জর্ডান ৯ নম্বরে।