আবু ধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার তাসকিন, কাগিসো রাবাদা, আনরিক নরকিয়ারা কঠিন পরীক্ষায় ফেলেন ব্যাটসম্যানদের। উইকেট এক পলক দেখেই সংশ্লিষ্টদের বোঝার কথা, স্পিনারের চেয়ে এখানে বেশি কার্যকর হবে পেসার।
তিন পেসার তো বটেই, একাদশে চার পেসারও হয়তো এখানে খেলানো যেত। সেখানে উল্টো আগের ম্যাচের তিন পেসার থেকে একজনকে কমিয়ে দেয় বাংলাদেশ! নিজেকে খুঁজে ফেরা মুস্তাফিজুর রহমানের জায়গায় তারা একাদশে ফেরায় বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে। মুস্তাফিজকে বাইরে রেখেও অনায়াসে তার জায়গায় আনা যেত অভিজ্ঞ পেসার রুবেল হোসেনকে।
উইকেট-কন্ডিশন স্পষ্ট কোনো কিছু নির্দেশ করলেও রাসেল ডমিঙ্গোর কোচিংয়ে বাংলাদেশের ভুল কৌশল নেওয়া এই প্রথম নয়। কিন্তু পরিস্থিতি বলছে, অতীত থেকে শিখছেন না তারা।
দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে এদিন হারের কারণ অবশ্য পেসার কম খেলানো নয়। ৮৪ রানে গুটিয়ে গিয়ে ম্যাচ হারার আয়োজন করে ফেলেন ব্যাটসম্যানরাই। তবে দলের ভাবনায় যে গলদ ছিল, তা ফুটে ওঠে তাসকিন ও শরিফুল ইসলামের বোলিংয়েই।
তাসকিন ১৮ রানে নেন ২ উইকেট। বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম কোনো উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে দেন কেবল ১৫ রান। স্পিনারদের বিপক্ষে অনায়াসেই রান করে ৩৯ বল বাকি থাকতে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা। সুপার টুয়েলভের ম্যাচটি জিতে নেয় ৬ উইকেটে। আরেকজন পেসার থাকলে হয়তো আরেকটু কঠিন হতো প্রোটিয়াদের কাজ।
ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা তাসকিনের কাছে প্রশ্ন ছিল, উইকেট দেখে ম্যাচের শুরুতেই পরিকল্পনা পাল্টে বাড়তি পেসার খেলানোর প্রয়োজন ছিল কি না। তার জায়গা থেকে এই উত্তর দেওয়া কঠিন। তিনি নিজের মতোই বললেন।
“সাধারণত সবগুলো ম্যাচেই লড়াইয়ের জন্য ১৪০-১৫০ ভালো সংগ্রহ হচ্ছে। কিন্তু আজকে মনে হচ্ছিল, ১২০-১২৫ রান হলেও ভিন্ন কিছু হতে পারত, যদি আমরা করতে পারতাম। বাকি ম্যাচগুলোর তুলনায় আজকের পিচটা একটু ভিন্ন মনে হয়েছে। বল একটু সিম করছিল। পরের ইনিংসেও দেখেছেন যে, ‘অফ দা পিচ মুভমেন্ট’ ছিল।”
“বোলিং ভালো হচ্ছিল। ওদেরও কিন্তু ৮৫ করতে প্রায় ১৪ ওভার লেগেছে। হয়ত, আজকে আমরা যদি একটু ভালো ব্যাটিং করতাম, তাহলে চিত্রটা ভিন্নরকমও হতে পারত।”
আরও নির্দিষ্ট করে যখন এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়, তখন তাসকিন শোনান অনুমিত কথাই।
“আসলে দেখেন, সেরা একাদশ সাজানো তো আমাদের হাতে নাই। দিন শেষে আমাদের যে দলটা দেওয়া হয়, আমরা সেভাবেই খেলার বা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করি। টিম সাজানোটা পুরোপুরি ম্যানেজমেন্টের হাতে। আমরা যারা মাঠে নামি বা যাদেরই মাঠে নামা হয়, তারাই নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি।”