আফ্রিদির ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি ভারত!

প্রথম ম্যাচে শাহিন শাহ আফ্রিদির বোলিং তোপে টালমাটাল ভারত আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছে না বলে মনে করছেন আকিব জাভেদ। পাকিস্তানের সাবেক এই পেসারের মতে, শুধু ভারতের টপ অর্ডারই নয়, আফ্রিদি নাড়িয়ে দিয়েছেন ভারতীয়দের মানসিকতাও। সেটিরই খেসারত দিতে হয়েছে তাদের নিউ জিল্যান্ডের কাছে হেরে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Nov 2021, 05:56 AM
Updated : 1 Nov 2021, 08:31 AM

এবারের বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে দুর্দান্ত প্রথম স্পেলে রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুলকে বিদায় করেন আফ্রিদি। তরুণ বাঁহাতি পেসার সেদিন নতুন বলে উপহার দেন স্মরণীয় এক প্রথম স্পেল। তার বোলিংয়ে গড়ে ওঠা ভিতের ওপর ম্যাচটি পাকিস্তান জিতে নেয় ১০ উইকেটে।

ওই ম্যাচে হারার পর ভারত দ্বিতীয় ম্যাচ খেলে রোববার। এ দিন তাদের ব্যাটিং অর্ডারে দেখা যায় পরিবর্তন। নিয়মিত ওপেনার ও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে চারটি সেঞ্চুরি করা একমাত্র ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মাকে তিনে নামানো হয়। লোকেশ রাহুলের সঙ্গে ইনিংস শুরু করেন বাঁহাতি ইশান কিষান। সূর্যকুমার যাদবের চোটে এই ম্যাচে সুযোগ পান কিষান।

ভারতের ব্যাটিং অর্ডারে এই পরিবর্তন চোখে লেগেছে আকিবের। পিটিভি স্পোর্টসে তিনি বললেন, আফ্রিদির মতো আরেক বাঁহাতি পেসার বোল্টের হাতে হেনস্তা না হতেই এই বদল আনা হয়।

আকিব জাভেদ ও শাহিন আফ্রিদি।

“টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সেরা ক্রিকেটারদের একজন রোহিত শর্মা। কিন্তু শাহিন শাহ আফ্রিদির এক ধাক্কার পরই ওপেনিংয়ে পরিবর্তন আনা হলো। বাঁহাতি ইশান কিষানকে ওপেনিংয়ে আনা হলো, কারণ বোল্টের সামনে দুই ডানহাতিকে পাঠাতে ভয় পাচ্ছিল তারা। রোহিতকে তাই তিনে পাঠানো হলো।”

“এটা তো স্রেফ দুটি ওভারের ব্যাপার (বোল্টের প্রথম স্পেল)। বিশ্বের সেরাদের একজন হিসেবে, লুকিয়ে রাখার বদলে রোহিতকেই ওপেন করতে পাঠানো উচিত ছিল।”

ম্যাচটিতে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং ব্যর্থতায় হেরে যায় ভারত। ২০ ওভারে স্রফ ১১০ রান তুলে তারা হরে ৮ উইকেটে। আউট হওয়া ৭ ব্যাটসম্যানের ৬ জনই ধরা পড়েন সীমানায়, ছক্কা মারার চেষ্টায়। উইকেটে ধুঁকতে ধুঁকতে শেষ পর্যন্ত বড় শট খেলে চাপ সরানোর চেষ্টায় আউট হন সবাই।

ভারতের এই ব্যাটিংয়ের ধরনে আকিব দেখছেন ভয় ও সংশয়ের ছাপ। সেখানেও তিনি ভূমিকা দেখেন ওপেনিং জুটিতে বদলের।

“পুরো ব্যাপারটিই আত্মবিশ্বাসের। দলের এক নম্বর ব্যাটসম্যানই (রোহিত) যদি আত্মবিশ্বাসী না থাকে এবং দায়িত্ব না নেয়, পুরো দলকেই তাহলে তা একই বার্তা দেয়। পুরো দলই শট খেলতে যেন ভয় পাচ্ছিল।”