‘যথেষ্ট সাহসী ছিল না দল’, উপলব্ধি কোহলির

স্কিলের ব্যাপার তো সবসময়ই থাকে, পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট সাহস আর আগ্রাসনের খেলা। এখানেই নিউ জিল্যান্ডের চেয়ে ভারত পিছিয়ে ছিল বলে মনে করেন বিরাট কোহলি। ভারতীয় অধিনায়কের মতে, ব্যাটে-বলে ও শরীরী ভাষায় যথেষ্ট তাড়না ছিল না বলেই হেরে গেছে তার দল।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Nov 2021, 04:21 AM
Updated : 1 Nov 2021, 08:27 AM

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্রেফ দুটি ম্যাচ খেলেছে ভারত। তাতেই তারা বিদায়ের দুয়ারে। দুটি ম্যাচেই কোহলির দল হেরেছে খুব বাজেভাবে। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হেরে যায় তারা ১০ উইকেটে, পরের ম্যাচে রোববার নিউ জিল্যান্ডের কাছে তারা হারে ৮ উইকেটে।

এই গ্রুপের বাস্তবতাই এমন যে, নিউ জিল্যান্ড ও ভারতের ম্যাচটি অনেকটাই হয়ে দাঁড়িয়েছিল কোয়ার্টার ফাইনাল। স্কটল্যান্ড ও নামিবিয়া আছে এই গ্রুপে। তাদের বিপক্ষে অন্যদের জয় অনেকটা অনুমিতই। বড় দলের নিজেদের মধ্যে ম্যাচগুলির ফলাফল তাই মহাগুরুত্বপূর্ণ। এখানেই দুবাইয়ে ভারতকে মাত্র ১১০ রানে আটকে রেখে নিউ জিল্যান্ড ৮ উইকেটে জিতে যায় ৩৩ বল বাকি রেখে।

এই ম্যাচের ময়নাতদন্তেই কোহলি দেখছেন, এরকম একটি প্রায় বাঁচা-মরার ম্যাচে, লড়াই করার মানসিকতাই ছিল না তার দলের।

“বেশ অদ্ভূত…সত্যি বলতে, আমার মনে হয় না, ব্যাটে-বলে আমরা যথেষ্ট সাহসী ছিলাম। বোলিংয়ে…অবশ্যই আমাদের পুঁজি যথেষ্ট ছিল না। কিন্তু আমরা মাঠে ঢোকার সময় শরীরী ভাষায় আমরা যথেষ্ট তেতে ছিলাম না। নিউ জিল্যান্ড মাঠে নামে অনেক বেশি তাড়না ও আরও ভালো শরীরী ভাষা নিয়ে। প্রথম ওভার থেকে তারা আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে এবং তা পরেও ধরে রাখে।”

২০ ওভার ব্যাট করেও ভারতের রান ছুঁতে পারেনি বল সংখ্যার সমান। অধিনায়ক কোহলি ৯ রান করেন ১৭ বল খেলে। আরেক আগ্রাসী ব্যাটসম্যান রিশাভ পান্তের ১২ রান আসে ১৯ বলে। রোহিত শর্মা করেন ১৪ বলে ১৪, হার্দিক পান্ডিয়া ২৪ বলে ২৩।

কিউই বোলারদের আঁটসাঁট বোলিংয়ে হাঁসফাঁস করতে করতে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা উইকেট হারায় বড় শট খেলার চেষ্টায়। আউট হওয়া ৭ ব্যাটসম্যানের ৬ জনই ধরা পড়েন সীমানায়। বাকি একজন, রিশাভ পান্ত বোল্ড হন তেড়েফুঁড়ে মারার চেষ্টায়।

ব্যাটিং দেখে কোহলির মনে হয়েছে, নিজেদের ওপর যথেষ্ট বিশ্বাস ছিল না তাদের।

“(ব্যাটিংয়ে) প্রতিবারই যখন মনে হয়েছে বড় শটের চেষ্টা করি, আমরা উইকেট হারিয়েছি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সেটা হতেই পারে। কিন্তু এখানে সেটা সম্ভবত ব্যাট হাতে মনে সংশয় থাকার ফল। বড় শটে যাওয়া উচিত নাকি উচিত নয়, এমন দ্বিধা কাজ করেছে হয়তো।”

সেমি-ফাইনালে খেলতে হলে এখন ভারতকে শুধু নিজেদের সব ম্যাচ জিতলেই হবে না, তাকিয়ে থাকতে হবে অন্যদের ফলাফলের ওপরও।