টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের ম্যাচে রোববার নামিবিয়াকে ৬২ রানে হারায় আফগানিস্তান। ১৬১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নামিবিয়া করতে পারে ৯ উইকেটে ৯৮।
দারুণ বোলিংয়ে প্রতিপক্ষকে একশর আগে থামিয়ে দিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন নাভিন। ৪ ওভারে ২৬ রান তিনি নেন ৩ উইকেট। ডট বল করেন ১০টি।
আবু ধাবিতে প্রথম তিন ওভারেই নাভিন ফিরিয়ে দেন নামিবিয়ার দুই ওপেনারকে। সেই ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি টানা তিন ম্যাচ জিতে আসা দলটি।
ইনিংসের চতুর্থ বলে নাভিনকে ছক্কায় ওড়াতে গিয়ে বল আকাশে তুলে সহজ ক্যাচ দেন ক্রেইগ উইলিয়ামস। ডানহাতি পেসারের পরের ওভারে স্লোয়ারে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন মাইকেল ফন লিনগেন। প্রথম দুই ওভারে ৯ রান দিয়ে নাভিনের প্রাপ্তি ২টি।
পঞ্চদশ ওভারে বোলিংয়ে ফিরে ৮ রান দিয়ে তিনি তুলে নেন ইয়ান ফ্রাইলিঙ্কের উইকেট। আর শেষের আগের ওভারে দুই চারে দেন ৯ রান।
এই ম্যাচ দিয়ে শেষ হলো আফগানিস্তানের হয়ে আসগরের এক যুগের পথচলা। ২০১৬ সালে নাভিনের অভিষেক হয় বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে, তখন অধিনায়ক ছিলেন আসগর।
নাভিন ম্যাচ সেরার পুরস্কার নেওয়ার সময় তার পাশেই ছিলেন আসগর। পুরস্কারটা তার হাতে তুলে দেন নাভিন।
“তার (আসগর) অধিনায়কত্বে আমার অভিষেক হয়েছিল, তাই এই পুরস্কার তাকে উৎসর্গ করতে চাই আমি...আমার মতে, আসগর আফগানিস্তানের সেরা অধিনায়ক। তাকে অনেক মিস করব আমরা।”
ম্যাচে দারুণ বোলিং করেন সাড়ে পাঁচ বছর পর আফগানিস্তানের হয়ে খেলতে নামা হামিদ হাসানও। ৪ ওভারে স্রেফ ৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন ৩৪ বছর বয়সী এই পেসার। অফ স্পিনার মুজিব উর রহমান ফিট না থাকায় সুযোগ পান তিনি।