‘লিটনের আউট ম্যাচের বড় টার্নিং পয়েন্ট’

শেষ ৭ বলে প্রয়োজন ১৩। একটা বাউন্ডারিতে সমীকরণ হয়ে যেত সহজ। এক প্রান্ত আগলে রাখা লিটন দাস সেই চেষ্টাই করলেন। ডোয়াইন ব্রাভোকে লং অনের ওপর দিয়ে মারতে চাইলেন ছক্কা। কিন্তু সীমানায় এমন কিছুর অপেক্ষাতেই ছিলেন জেসন হোল্ডার। ৬ ফুট ৭ ইঞ্চি লম্বা ক্রিকেটার একটু লাফিয়ে মুঠোয় জমালেন ক্যাচ। বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর মতে, এই আউট ম্যাচের বড় টার্নিং পয়েন্ট।

ক্রীড়া প্রতিবেদকশারজাহ থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Oct 2021, 04:16 PM
Updated : 29 Oct 2021, 05:05 PM

শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ৩ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। ১৪২ রান তাড়ায় দলটি থেমেছে ১৩৯ রানে।

চতুর্দশ ওভারে মুশফিকুর রহিম বোল্ড হয়ে যাওয়ার পর জুটি বাঁধেন লিটন ও মাহমুদউল্লাহ। এক প্রান্ত আগলে রাখা কিপার-ব্যাটসম্যানের সঙ্গে অধিনায়ক যোগ করেন ৩৩ বলে ৪০ রান।

ম্যাচের বাস্তবতা বলবে, প্রয়োজনের চেয়ে একটু মন্থর ছিল তাদের জুটি। তবে মাহমুদউল্লাহর ধারণা, শেষ সময়টায় একটু এদিক-সেদিক হলেই ম্যাচের ফল অন্যরকম হতে পারত।

“আমার মনে হয় যে, ওই সময়টাতে আমরা যখন ব্যাট করছিলাম, আমরা ঠিকঠাকই ব্যাটিং করছিলাম। আমার আর লিটনের জুটি মোটামুটি ভালোই হচ্ছিল।”

“(আন্দ্রে) রাসেলে শেষ ওভারটার আগে, ব্রাভোর শেষ বলে যদি ছয়টা হয়ে যেত, তাহলে অনেকটা এগিয়ে যেতাম। আমার মনে হয়, ওইটা একটা বড় টার্নিং পয়েন্ট ছিল ম্যাচের। কারণ, লিটনও থিতু ছিল। দুইজন থিতু ব্যাটসম্যান যদি শেষ ওভারে ক্রিজে থাকতে পারতাম, তাহলে অন্তত একজন শেষ ওভারে একটা বাউন্ডারি বা ওভার বাউন্ডারি কিংবা ইতিবাচক কিছু করতে পারতাম।”

শেষ দিকে দীর্ঘদেহী সব ফিল্ডারদের সীমানায় রেখেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মাহমুদউল্লাহ মনে করেন, এই ম্যাচের ফলে সেটারও একটা ভূমিকা আছে।

“লিটনের শেষ শটটা যদি ছক্কা হতো… আমি ভেবেছিলাম সম্ভবত ওটা ছয় হচ্ছে। সীমানায় দীর্ঘদেহী ফিল্ডার রাখতে পারার এটা একটা সুবিধা। ছয় ফুট ছয় কিংবা ছয় ফুট সাত ইঞ্চি উচ্চতার কেউ যদি সীমানায় থাকে যে ক্যাচ ধরতে পারে, সেটা একটা সুবিধা।”