রানের দেখা পেতে আত্মবিশ্বাসী সোহান

উইকেটের পেছনে সময়টা দারুণ কাটছে নুরুল হাসান সোহানের। লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম থাকার পরও কিপিংয়ে আপাতত তিনিই বাংলাদেশের মূল ভরসা। কিন্তু উইকেটের সামনে সময়টা তত ভালো কাটছে না। ব্যাট হাতে মেটাতে পারছেন না প্রত্যাশা। এতে অবশ্য তার আত্মবিশ্বাসে টান পড়েনি বলেই দাবি করলেন সোহান। বরং নিজের সামর্থ্যে আস্থা রেখে দলের চাহিদা মেটাতে প্রত্যয়ী তিনি।

ক্রীড়া প্রতিবেদকদুবাই থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Oct 2021, 06:23 PM
Updated : 28 Oct 2021, 06:23 PM

সোহানের কিপিং নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ খুব একটা নেই। বিশ্বকাপেও দেখিয়েছেন নিজের কিপিং সামর্থ্য। কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর মতে, প্রতি ম্যাচেই ১০-১২ রান বাঁচান সোহান। 

মাঠে সোহানের উপস্থিতি বরাবরই টের পাওয়া যায়। উইকেটের পেছন থেকে সারাক্ষণ উৎসাহ দিয়ে যান বোলারদের। কখনও কখনও ছুটে এসে দিয়ে যান কোনো পরামর্শ। এই অংশটুকু ঠিকই আছে। কিন্তু তার ব্যাটিংয়ের দিকেও তো তাকিয়ে থাকে দল! এখানেই এখনও পর্যন্ত তিনি ব্যর্থ এই বিশ্বকাপে।

সেভাবে রান নেই অবশ্য দলের কারও ব্যাটে। মিলিত চেষ্টায় কোনোমতে একটা স্কোর হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে, শেষ দিকে ঝড়ো একটা ইনিংসের জন্য সোহানের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ। কিন্তু তিনি খুব একটা সুবিধা করতে পারছেন না।

প্রায় সাড়ে চার বছর বাইরে থাকার পর গত জুলাই থেকে টি-টোয়েন্টিতে নিয়মিত খেলছেন সোহান। এই মাঝের সময়টুকুতে ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেকবারই দেখিয়েছেন সামর্থ্যের ঝলক। বুকে তার সাহসের কমতি নেই। খেলতে পারেন অনেক শট। উদ্ভাবনী শটেও জুড়ি নেই। কিন্তু সে সবের কিছুই কাজে লাগছে না আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে।

ফেরার পর সত্যিকার অর্থে কার্যকর ইনিংস দুটি খেলেছেন সোহান। গত জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ে সফরে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে শেষ দিকে ৮ বলে ১৬ করে অপরাজিত থেকে জয় এনে দেন দলকে। এরপর অগাস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ২১ বলে ২২ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে আফিফ হোসেনের সঙ্গে চমৎকার দলকে পৌঁছে দেন লক্ষ্যে। এরপর থেকে তেমন ইনিংস বা কোনো ক্যামিও, কিছুই দেখা যাচ্ছে না সোহানের ব্যাটে।

রান খরায় খুব একটা উদ্বিগ্ন নন বলেই জানালেন সোহান। তবে দলের চাওয়াও অনুভব করতে পারছেন ২৭ বছর বয়সী এই কিপার ক্রিকেটার। সামনের সময়টায় দলের চাওয়ার সঙ্গে তিনি মেলাতে চান নিজের পারফরম্যান্স।

“টি-টোয়েন্টিতে লোয়ার মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করলে, দল থেকে খুব একটা চাওয়া থাকে না। কারণ, একেক সময় একেক পরিস্থিতি থাকে। যেমন, অনেক সময় ৫-৬ বল পাই, তখন (চেষ্টা করি) ওটাকে যতটুকু কাজে লাগানো যায়। আমার মনোযোগ এই দিকেই।”

“দল যে জিনিসটা চাচ্ছে, সেটা হয়ত শতভাগ করতে পারিনি। কিন্তু নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস আছে, আমি পারি। পরে সুযোগ এলে আমি অবশ্যই দল যেমন চায়, ৫ বলে ১০, বা ১০ বলে ১৫ রান, যেটাই চাইবে সেটা যেন করতে পারি। এটাই হবে মূল লক্ষ্য।”