মালিক-আসিফের ব্যাটিংয়েই ‘হেরে গেছে’ নিউ জিল্যান্ড

উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন। উইকেটে গিয়েই শট খেলা নতুন ব্যাটসম্যানের জন্য আরও কঠিন। কিন্তু শোয়েব মালিক ও আসিফ আলির ব্যাটিং দেখে কে বলবে তা! এই দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিং দ্রুতই বদলে দিল ম্যাচের চিত্র। দারুণ সব শট খেলে পাকিস্তানকে জয় এনে দিলেন দুজন। ম্যাচ শেষে নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন বললেন, মালিক-আসিফের শেষের ব্যাটিংয়েই হেরে গেছে তার দল।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Oct 2021, 07:21 AM
Updated : 27 Oct 2021, 08:52 AM

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে শারজাহতে মঙ্গলবার মালিক ও আসিফের জুটির যখন শুরু, ম্যাচে তখন এগিয়ে নিউ জিল্যান্ড। ১৩৫ রান তাড়ায় পাকিস্তান ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে ৮৭ রানে। শেষ ৫.১ ওভারে প্রয়োজন পড়ে তখন ৪৮ রানের।

ওই উইকেটে কাজটি ছিল ভীষণ কঠিন। কিন্তু মালিক ও আসিফের ব্যাটিংয়ে তা হয়ে ওঠে অনায়াস। মালিক তার অভিজ্ঞতার পুরোটা মেলে ধরেন। আসিফ দেখান তার হাতের জোর। পাকিস্তানের বিশ্বকাপ দলে যিনি শেষ মুহূর্তে সুযোগ পান সোহেব মাকসুদ চোটে পড়ায়, সেই মালিক অপরাজিত থাকেন ২০ বলে ২৬ রান করে। তিনটি ছক্কায় আসিফ করেন ১২ বলে ২৭।

৩.৫ ওভারে দুজনের ৪৮ রানের জুটিতে ৮ বল বাকি রেখেই জিতে যায় পাকিস্তান।

২২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে যদিও ম্যান অব দা ম্যাচ হন হারিস রউফ। পাকিস্তানের অন্য বোলাররাও দারুণ বোলিং করেন। কিন্তু ম্যাচ শেষে উইলিয়ামসন বলেন, হেরে গেছেন তারা শেষ দিকে মালিক-আসিফের ব্যাটেই।

“আমার মনে হয়, এক পর্যায়ে ওদের ৩০ বলে ৫২ লাগত (৩৩ বলে)। এই উইকেটে টাইমিং করা কঠিন। কিন্তু শোয়েব মালিক দারুণ খেলে এগিয়ে নেন দলকে ও গোটা দুই বলিষ্ঠ শটে শেষ করেন, এবং আসিফও, মাঠে নেমেই দারুণ খেলতে শুরু করে। এই উইকেটে তারা অন্য যে কারও চেয়ে ভালো টাইমিং করে দেখায়।”

ব্যাটিংয়ের মতো পাকিস্তানের শেষের দিকের বোলিংও এ দিন ছিল দুর্দান্ত। শেষ ৭ ওভারে মাত্র ৪৫ রান দেয় তারা। এই সময়টায় নিউ জিল্যান্ড বাউন্ডারি মারতে পারে মাত্র ৩টি। উইলিয়ামসন বললেন ম্যাচের ওই অংশের কথাও।

“দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আজ পরিস্থিতি আমাদের পক্ষে ছিল না। প্রতিপক্ষের দিকে যদি তাকাই, শেষ দিকে তারা যতটা নিখুঁত ছিল…. আমাদেরকে টাইমিংই করতে দেয়নি, সর্বোচ্চ মানের বোলিং। আমাদের জন্য ব্যাপারটি হলো এখান থেকে শেখা ও সামনে তাকানো।”