শারজাহতে মঙ্গলবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডকে ১৩৪ রানে থামিয়ে দিয়ে ৫ উইকেটের জয় তুলে নেয় পাকিস্তান।
কেন উইলিয়ামসনের দলকে দেড়শর আগে আটকে দেওয়ার মূল নায়ক রউফ। নিখুঁত লাইন লেংথ, গতি, স্লোয়ার, ইয়র্কারের মিশেলে অসাধারণ বোলিং করেন তিনি। ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। তার আগের সেরা ২৯ রান দিয়ে তিনটি।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বল হাতে পান রউফ। প্রথম বলেই ঘণ্টায় ১৪৯ কিলোমিটার গতির ইয়র্কারে পরাস্ত করেন মার্টিন গাপটিলকে। পরের বলটিও ছিল গতিময়, লেগ সাইডে খেলতে চেয়েছিলেন নিউ জিল্যান্ড ওপেনার। কিন্তু ব্যাটে বলে করতে পারেননি। পা থেকে বল আঘাত করে স্টাম্পে। পাকিস্তান পায় ম্যাচে প্রথম সাফল্য।
লম্বা সময় পর আক্রমণে ফেরেন তিনি পঞ্চদশ ওভারে। উইকেট না পেলেও করেন দারুণ বোলিং। প্রথম ওভারে ৬ রানের পর এই ওভারে দেন কেবল ৫।
অষ্টাদশ ওভারে বল হাতে পেয়ে জোড়া শিকার ধরেন রউফ। ফেরান ডেভন কনওয়ে ও গ্লেন ফিলিপসকে। ইনিংসের শেষ ওভারের শেষ বলে তার স্লোয়ারে স্টাম্প এলোমেলো হয়ে যায় মিচেল স্যান্টনারের।
দারুণ বোলিংয়ে দলের জয়ের সুর বেঁধে দেওয়া রউফ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন ফিল্ডার ও সমর্থকদের প্রতি।
“আল্লাহ্কে ধন্যবাদ দিতে চাই। দল ভালো ফিল্ডিং করেছে এবং বোলারদের সহায়তা করেছে। ম্যাচজুড়ে ভক্তরা আমাদের সমর্থন করে গেছে এবং জিততে সাহায্য করেছে। আমি এই দলে দুই বছর ধরে খেলছি। আমরা একে অপরকে সমর্থন করি এবং নিজেদের পরিকল্পনা একে অপরের সঙ্গে আলোচনা করি। যেটা আমাদের আত্মবিশ্বাস যোগায়।”
উদ্বোধনী জুটিতে ড্যারিল মিচেলকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন গাপটিল। তাদের ৩৬ রানের সেই প্রতিরোধ ভাঙাই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ছিল বলে মনে করছেন রউফ।
“গাপটিলের উইকেটটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ। ওই মুহূর্তে তারা মোমেন্টাম গড়ছিল।”
অল্প এই রান তাড়ায়ও পাকিস্তানকে চাপে ফেলে দেয় নিউ জিল্যান্ড। তবে শোয়েব মালিকের কার্যকর ইনিংস ও আসিফ আলির ক্যামিওতে ৮ বল আগেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাবর আজমের দল। টানা দুই জয়ে আসরের শুরুটা দারুণ হলো তাদের।