পাকিস্তান তাদের বহুল আকাঙ্ক্ষিত জয়টি পায় গত রোববার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে ভারতকে উড়িয়ে দেয় তারা। ২৯ বছরে দুই সংস্করণের বিশ্বকাপে ত্রয়োদশ বারের দেখায় মিলল ইতিহাস গড়া এই জয়।
দুই দল বিশ্বকাপে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েছিল ১৯৯২ সালে। সেবার ভারতকে ২১৬ রানে পাকিস্তান আটকে দিলেও নিজেরা ১৭৩ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল।
ওয়ানডে বিশ্বকাপে এরপর আরও ছয়বার দেখা হয় তাদের। প্রতিবারই জয়ের হাসি ফোটে ভারতের মুখে। এবারের আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাঁচবার মুখোমুখি হয় দুই দল। যেখানে চারটিতেই সরাসরি জয় ভারতের। আরেকটি হয়েছিল টাই। ২০০৭ বিশ্বকাপের সেই টাই ম্যাচেও পরে টাইব্রেকারে হেরে যায় পাকিস্তান।
দুবাইয়ে রোববার ভারতকে উড়িয়ে দেওয়ার পথে টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো ১০ উইকেটের জয় পেয়েছে পাকিস্তান। ভারতের বিপক্ষে সীমিত ওভারের দুই সংস্করণ মিলিয়েও এত বড় জয় আর নেই তাদের।
ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সোমবার ওয়াসিম বলেন, বেঁচে থাকতে প্রতিবেশিদের বিপক্ষে বিশ্বকাপে একটা জয় দেখতে চেয়েছিলেন তিনি।
“জীবদ্দশায় আমি এটা (বিশ্বকাপে ভারতকে হারানো) দেখতে চেয়েছিলাম এবং দেখলাম। অবিশ্বাস্য এক জয়।”
শাহিন শাহ আফ্রিদির বোলিংয়ে দুর্দান্ত শুরুর পর ১৫১ রানে ভারতকে থামিয়ে দেয় পাকিস্তান। রান তাড়ায় প্রতিপক্ষের শক্তিশালী বোলিং আক্রমণকে পাত্তাই দেননি বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। জাসপ্রিত বুমরাহ, ভুবনেশ্বর কুমার, বরুণ চক্রবর্তীরা তৈরি করতে পারেননি তেমন কোনো সুযোগই।
নিখুঁত পারফরম্যান্সের জন্য দলকে প্রশংসায় ভাসালেন ওয়াসিম।
“তারা যেভাবে পারফর্ম করেছে, অকল্পনীয়। নিখুঁত ও কার্যকর, পুরোটা সময়ই তারা ছিল খুব শান্ত। সব কিছুই তাদের পক্ষে গেছে। আমার মনে হয়, টসও।”
সুপার টুয়েলভে আরও চারটি ম্যাচ আছে পাকিস্তানের। এবার মাটিতে পা রেখে সেগুলোয় মনোযোগ দিতে বাবর আজমদের পরামর্শ দিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ওয়াসিম।
“জয়ের দিনটা ছিল গতকাল, ইতিহাস লেখা শেষ। সেটা এখন অতীত। আমি চাই পাকিস্তান দল এখন পরের ম্যাচে মনোযোগ দিক। এটা দীর্ঘ একটি বিশ্বকাপ।