দুবাইয়ে রোববার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের ম্যাচে ভারতকে ১৫১ রানে আটকে দেয় পাকিস্তান। পরে বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটে তারা তুলে নেয় বিশ্বকাপে প্রতিবেশি দেশটির বিপক্ষে প্রথম জয়।
প্রতিপক্ষকে দেড়শর বেশি করতে না দেওয়ার মূল কারিগর আফ্রিদি ৩১ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। দারুণ পারফরম্যান্সে জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে যা তার তৃতীয়।
আফ্রিদি নিজের প্রথম দুই ওভারেই ফিরিয়ে দেন রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুলকে। পরে থিতু বিরাট কোহলিও তার শিকার।
ইনিংসের চতুর্থ বলে আফ্রিদির প্রায় ইয়র্কার লেংথের দারুণ এক ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হয়ে যান রোহিত। পরের ওভারের প্রথম বলেই এই পেসারের শিকার রাহুল। অফ স্টাম্পের ভালো লেংথের হালকা সুইংয়ে ভেতরে ঢোকা বল ভারত ওপেনারের ব্যাটের ভেতরের কানা নিয়ে ছোবল দেয় স্টাম্পে।
৬ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপদে পড়া ভারত কোহলির ব্যাটে এগোতে থাকে। দ্বিতীয় স্পেলে ১৯তম ওভারে আক্রমণে এসে আফ্রিদি কট বিহাইন্ডে ফেরান ৫৭ রান করা ভারত অধিনায়ককে।
পরে আর বেশি বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারেননি ভারত। তাদের সেই রান চোখধাঁধানো ব্যাটিং পারফরম্যান্সে তাড়া করে দলকে জয়ের আনন্দে ভাসান বাবর ও রিজওয়ান।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আফ্রিদি তুলে ধরেন তার পরিকল্পনা।
“এই প্রথম আমরা ভারতকে হারিয়েছি (বিশ্বকাপে), এর জন্য আমি গর্বিত। জানতাম, যদি দ্রুত উইকেট নিতে পারি তাহলে আমাদের জন্য ভালো হবে, আর সেটাই কাজে দিয়েছে। আমার পরিকল্পনা ছিল যত বেশি সম্ভব সুইং করানো। এখানে সেরকম সুইং পাওয়া যায় না। তবে আমি চেয়েছি দলকে ব্রেকথ্রু এনে দিতে এবং শতভাগ চেষ্টা করতে।”
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে বিশ্বকাপে ১৩ বারের চেষ্টায় অবশেষে ভারতকে হারাতে পারল পাকিস্তান। সঙ্গে আরেকটি প্রথমের স্বাদও পেল তারা, টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ১০ উইকেটে জয়।