টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের ম্যাচে রোববার বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারায় শ্রীলঙ্কা। আসালাঙ্কার ব্যাটিং ঝড়ে ১৭২ রানের লক্ষ্য তারা ছুঁয়ে ফেলে ৭ বল আগে।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রান তাড়ায় পঞ্চদশ ওভারে ৬৩ রানে জীবন পান আসালাঙ্কা। এরপর আর তাকে আটকানো যায়নি। খেলেন ৪৯ বলে ৮০ রানের অপরাজিত ইনিংস। জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
টি-টোয়েন্টিতে তো বটেই, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৩তম ম্যাচে এসে প্রথমবার সেরার স্বীকৃতি পেলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আসালাঙ্কা তুলে ধরেন দলের জয়ে অবদান রাখার অনুভূতি।
“দেশের হয়ে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলতে পারা আনন্দের। এখন আমি খুবই খুশি। দেশে আমার বন্ধুরাও এই মুহূর্তে খুব খুশি, তারা সবসময় আমাকে সমর্থন দেয়।”
“প্রথম বল মোকাবেলা করার পরই মনে হলো ভালো উইকেট। নিজের সহজাত ব্যাটিং করার মনঃস্থির করলাম। রাজাপাকসা দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলেছে এবং সে মোমেন্টাম বদলে দিয়েছে। আমি এমন পারফরম্যান্স চালিয়ে যেতে চাই এবং সামনের ম্যাচগুলোতে এমন খেলতে মুখিয়ে আছি।”
লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই কুসাল পেরেরা বোল্ড হয়ে ফিরলে ক্রিজে যান আসালাঙ্কা। শুরু থেকেই খেলেন আত্মবিশ্বাসী সব শট। নাসুম আহমেদকে তিন বলের মধ্যে মারেন দুই ছক্কা।
বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নেন ৩২ বলে। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে যা তার প্রথম।
পরপর ২ ওভারে তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে যখন চাপে শ্রীলঙ্কা, তখনও দলকে টানেন আসালাঙ্কা। ভানুকা রাজাপাকসাকে নিয়ে এগিয়ে যান জয়ের পথে। ফিফটি পান রাজাপাকসাও। তাকেও অবশ্য একবার জীবন দেন লিটন।
শেষ দিকে রাজাপাকসা ফিরলেও আসালাঙ্কা ঠিকই দলকে পৌঁছে দেন জয়ের বন্দরে। ইনিংসে ৫টি করে চার ও ছক্কা মারেন তিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এক ইনিংসে শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ পাঁচটি ছক্কা মেরেছেন আর জেহান মুবারাক ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস।