দুবাইয়ে শুক্রবার সুপার টুয়েলভের ম্যাচে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ৫৫ রানে গুঁড়িয়ে দেয় ইংল্যান্ড। অসাধারণ ওই ক্যাচের পর দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন মইন।
টি-টোয়েন্টিতে দেশের হয়ে এই নিয়ে ষষ্ঠবার ম্যাচ সেরা হলেন তিনি। এই সংস্করণের বিশ্বকাপে এই স্বীকৃতি পেলেন দ্বিতীয়বার।
ম্যাচের প্রথম ওভারে আক্রমণে এসে এভিন লুইসের ব্যাটে ছক্কা হজম করেন মইন। পরের ওভারেই এই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দেওয়ার পথে রাখেন অবদান। বোলিং দিয়ে নয়, ক্রিস ওকসের বলে দুর্দান্ত ওই ক্যাচ ধরে।
সেরার পুরস্কার জেতার সময় মইন জানালেন, এই ক্যাচ তার আত্মবিশ্বাসের পালে দিয়েছিল বাড়তি হাওয়া।
“ওই ধরনের একটি ক্যাচ বাড়তি আত্মবিশ্বাস দেয়। মনে হয়, ওই ক্যাচের পর আমার স্নায়ুচাপ কিছুটা কমেছিল।”
পাওয়ার প্লেতে আরও দুই ওভার করেন মইন। নিজের দ্বিতীয় ওভারে লেন্ডল সিমন্সকে ফেরানোর পর তৃতীয় ওভারে তুলে নেন শিমরন হেটমায়ারের উইকেট।
নতুন বলে টানা ৪ ওভারের স্পেলে এক মেডেনসহ ১৭ রান দিয়ে নেন দুই উইকেট। বিধ্বস্ত ক্যারিবিয়ান ইনিংসের শেষে মাত্র দুই রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন আদিল রশিদ। তবে ম্যাচের শুরুতেই মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ায় ম্যাচ সেরা মইন।
আইপিএলের সবশেষ আসরের শিরোপাজয়ী দল চেন্নাই সুপার কিংসের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের একজন ছিলেন মইন। সেখানেও তাকে দেখা গেছে নতুন বলে আক্রমণে আসতে। বিশ্বকাপের আগে সেই প্রস্তুতি যথাযথ হয়েছে বলে জানালেন মইন।
“উপরের দিকে তাদের অনেক বাঁহাতি ব্যাটসম্যান আছে। তাই আমি জানতাম যে, শুরুর দিকে আমি বোলিং করব। চেন্নাই সুপার কিংসে এই ভূমিকা আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মনে হতো, আমি সবসময় ব্যাট ও বল হাতে এবং মাঠে সবকিছুতে সম্পৃক্ত। বিশ্বকাপে আসার আগে এটাই ছিল সঠিক প্রস্তুতি।”
ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্বল্প এই রান তাড়ায়ও কিছুটা ধুঁকতে হয় ইংল্যান্ডকে। ৪ উইকেট হারায় তারা। যেখানে ছিলেন ৪ বলে ৩ রান করা মইনও। তবে শেষ পর্যন্ত ৭০ বল আগেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ২০১০ আসরের চ্যাম্পিয়নরা।