শারজাহর উইকেটের এই পরিবর্তন আলোচনার জন্ম দেয় বিশ্বকাপের ঠিক আগে আইপিএলে। এই আসরে ভীষণ মন্থর উইকেট দেখা যায় এখানে। ধীরগতির, টার্নিং উইকেটে রান করতে ভুগতে দেখা যায় সব ব্যাটসম্যানকেই।
এরপর বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডেও দেখা গেছে প্রায় একই চিত্র। সুপার টুয়েলভের লড়াইয়েও উইকেটের চরিত্র রাতারাতি বদলে যাওয়ার কথা নয়।
এই মাঠেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রোববার বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের অভিযান শুরু করবে বাংলাদেশ। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ বললেন, এই উইকেট মনে ধরেছে তাদের।
“এই ধরনের কন্ডিশন আমাদের উপযোগী হতে পারে। শারজাহর উইকেট অনেকটা ঢাকার উইকেটের মতো। আশা করি, কাল আমরা এখান থেকে সহায়তা পাব।”
দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ থাকার সময় এখানে দলকে নিয়ে এসেছেন ডমিঙ্গো। সেই সময় আর এই সময়কে মিলিয়ে উইকেট নিয়ে যথেষ্ট ভালো ধারণাই তার তৈরি হয়েছে।
“আমি জানি, উইকেট নতুন করে তৈরি করা হয়েছে এবং এরপর থেকে স্কোর উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে এসেছে। তবে দীর্ঘকায় বোলার, যারা উইকেটে জোরে হিট করে, তারা এখানে সবসময় সুযোগ তৈরি করেছে। বেশ কয়েক বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে আমি এখানে এসেছিলাম, মনে আছে, মর্নে মর্কেল যে কঠিন লেংথে বল করত, দারুণ কার্যকর হতো সে। বল স্কিড করত।”
“তো, লম্বা ফাস্ট বোলারদের সুযোগ থাকবে। স্পিনারদের সুযোগ এখানে সবসময়ই থাকে। উইকেট সোজা বল করলে এলবিডব্লিউ, বোল্ডের সম্ভাবনা থাকবে।”
শুধু উইকেট নয়, বাংলাদেশ কোচ সুবিধা দেখছেন মাঠের আকারেও। পেশি শক্তি দিয়ে বড় শট খেলার ব্যাটসম্যান এই দলে নেই। শারজাহর ছোট মাঠও তাই কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে ডমিঙ্গোকে।
“সীমানা এখানে তুলনামূলক ছোট। আমরা পাওয়ার-হিটিং দল হিসেবে পরিচিত নই, আমাদের জন্য বাউন্ডারি বের করা তাই কিছুটা সহজ হতে পারে। এটা একটা সুবিধা হতে পারে।”