ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হওয়া এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে নেতৃত্ব দিবেন মর্গ্যান। ২০ ওভারের বৈশ্বিক আসরের আরেকটি শিরোপায় চোখ রেখে আগামী শনিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে সেই অভিযানে নামবে ২০১০ আসরের চ্যাম্পিয়নরা।
চলতি বছর টি-টোয়েন্টিতে হাসছে না মর্গ্যানের ব্যাট। এই সংস্করণে এবছর এখন পর্যন্ত ৩৫ ইনিংসে ব্যাটিং করে তার গড় মাত্র ১৬.৬৩। সর্বোচ্চ ইনিংস অপরাজিত ৪৭ রান। সবশেষ আইপিএলে আমিরাত অংশে ৯ ইনিংসে দুই অঙ্কে যেতে পারেন কেবল একবার!
টুর্নামেন্টের মূল পর্ব শুরুর আগে মর্গ্যানের সাম্প্রতিক ফর্ম নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। দিন দুয়েক আগে ইংলিশ অধিনায়কও সেসবের উত্তর দেন পেশাদারভাবেই। জানান, দলের প্রয়োজনে একাদশের বাইরেও থাকতে রাজি তিনি।
সেটা হওয়ার বাস্তব সম্ভাবনা খুব একটা নেই। কারণ নেতৃত্বে যে চেনা রূপেই আছেন মর্গ্যান। আইপিএলের সবশেষ আসরে তার অধিনায়কত্বেই ফাইনাল খেলেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। যদিও শেষ পর্যন্ত হয়েছে রানার্স-আপ।
৩৫ বছর বয়সী মর্গ্যান এবার বললেন, তার ক্যারিয়ার নিয়ে লক্ষ্য। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরের আসরটি হবে অস্ট্রেলিয়ায়, ২০২২ সালে। সেখানে খেলতে চান তিনি।
মর্গ্যানের নেতৃত্বেই ২০১৯ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রথম শিরোপা জিতেছিল ইংল্যান্ড। এই সংস্করণের পরের আসর ২০২৩ সালে, ভারতের মাটিতে। সেখানে নিজের খেলার সম্ভাবনা খুব একটা দেখছেন না ইংলিশ অধিনায়ক। তবে বিবিসিকে বৃহস্পতিবার দেওয়া সাক্ষাৎকারে বললেন, এখনও আগের মতোই ক্ষুধার্ত তিনি।
“এই মুহূর্তে আমি নিশ্চিতভাবেই নিজেকে পরের বছর পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যেতে দেখছি। আশা করি, আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শক্ত ভূমিকা পালন করতে পারব। এটাই আমার নিজের কাছে চাওয়া।”
“আরও দুটি টুর্নামেন্টে খেলা নিয়ে আমি নিশ্চিত নই। এটা পরিষ্কার, ফলাফলের ওপরই তা নির্ভর করে যে আরও কতদিন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব। তবে নিশ্চিতভাবেই, আমার মধ্যে (ভালো করার) ক্ষুধা ও তাড়না আগের মতোই শক্তিশালী।”
এখন পর্যন্ত ২৪৬ ওয়ানডে ও ১০৭ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন মর্গ্যান। ইংল্যান্ডের হয়ে সীমিত ওভারে দুই সংস্করণেই সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড তার।