বিশ্বকাপের শুরুটা এবার যদিও সাকিবের খুব ভালো ছিল না। বোলিং ভালো করলেও ব্যাট হাতে ২৮ বলে ২০ রানে আউট হন তিনি। সেই ম্যাচে স্কটল্যান্ডের কাছে দল হারার পর প্রবল সমালোচনার শিকার হতে হয় তাকেসহ সিনিয়র ক্রিকেটারদের। পারফরম্যান্সের কারণে সমালোচিত হওয়ার ঘটনা সাকিবের ক্যারিয়ারে খুব বেশি নেই।
তবে ঘুরে দাঁড়াতে সময় খুব একটা নেননি তিনি। ওমানের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে ২৭ বলে ৪২ রান করে ও ৩ উইকেট নিয়ে তিনি ম্যান অব দা ম্যাচ। পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও তিনি নায়ক। এবার প্রথম ওভারে উইকেটে গিয়ে রান করেন ৩৭ বলে ৪৬। পরে বল হাতে ৪ ওভারে কেবল ৯ রান দিয়ে তার শিকার ৪ উইকেট।
সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৩৮ বার ম্যান অব দা ম্যাচ হলেন তিনি। বাংলাদেশের ক্রিকেটে এখানে তার ধারেকাছে নেই কেউ। বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসেই তার ওপরে আছেন কেবল আর ১৪ জন।
ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে সাকিবকে নিয়ে আগেও বহুবার বলা কথা আবার বললেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।
“সবসময়ই বলি যে সাকিব চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটার। তার মতো পারফর্মার পাওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেটের সৌভাগ্য। ক্যারিয়ার জুড়েই সে অসাধারণ। অন্য সবাইও ভালো, সাকিব বিশেষ কিছু। সে চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটার।”
এই ম্যাচের ৪ উইকেটে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ডে শহিদ আফ্রিদিকে স্পর্শ করেন সাকিব। ৩৪ ইনিংসে ৩৯ উইকেট আফ্রিদির, সাকিব তার পাশে নাম লেখালেন ৭ ইনিংস কম বল করেই।
আসরের প্রথম ম্যাচে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ডও নিজের করে নেন সাকিব।