দলের ভরসা যারা, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে তারাই ছিলেন বাংলাদেশের হতাশার কারণ। তিনে নেমে সাকিব আল হাসান ২৮ বলে করেন ২০ রান। চারে নেমে মুশফিকুর রহিম টানা দুই বলে ছক্কার পরও ৩৮ রান করেন ৩৬ বলে। দুজনের ৪৭ রানের জুটিতে লাগে ৪৬ বল। পরে মাহমুদউল্লাহ ২২ বল খেলে করেন মাত্র ২৩।
তাদের ধীরগতির ব্যাটিংয়ে প্রয়োজনীয় রান রেট যে উচ্চতায় পৌঁছায়, অন্যরা পারেননি সেই কঠিন সমীকরণ মেলাতে।
দল হেরে যাওয়ার পরদিন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, তিন সিনিয়র ক্রিকেটারের অমন ব্যাটিংয়ের কারণেই হেরে গেছে দল।
বিসিবি সভাপতির সেই বক্তব্যের প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হয় ডমিঙ্গোর মতামত। বাংলাদেশ কোচ সরাসরি সেই প্রসঙ্গে না গিয়ে আগলে রাখেন ক্রিকেটারদের।
“আমি এখানে প্রেসিডেন্টকে নিয়ে কথা বলতে আসিনি। সবারই নিজের মতামত দেওয়ার অধিকার আছে। আমার দিক থেকে, আমি আমার ক্রিকেটারদের সমালোচনা করব না। ওদের ওপর পূর্ণ বিশ্বাস আছে আমার, পুরো আস্থা আছে।”
“দলের বাইরের যা কিছু, আমার কাছে তা এই মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমার মনোযোগ পুরোপুরি আমার দলের ওপর এবং এটা নিশ্চিত করায় যে আমরা শতভাগ ওদের পাশে আছি যেন ওরা দারুণ পারফরম্যান্স দেখাতে পারে।”
সাকিব ব্যাট হাতে ছন্দে নেই বেশি কিছুদিন ধরেই। তার সেরা সময়ের ব্যাটিং তো বহুদূর, স্বাভাবিক ব্যাটিংও দেখা যাচ্ছে না সাম্প্রতিক সময়ে। নিউ জিল্যান্ড সিরিজ থেকে ধুঁকছেন মুশফিকও। মাহমুদউল্লাহ মাঝেমধ্যে কার্যকর ইনিংস খেললেও যথেষ্ট ধারাবাহিক নন।
অভিজ্ঞতা যেখানে হওয়ার কথা সম্পদ, সেখানে বাংলাদেশ দলে কি তা বোঝা হয়ে উঠছে? কোচ মোটেও তা মনে করেন না।
“ওদের কখনোই বোঝা বলা যাবে না। ওরা বিশ্বমানের। ওরা নিজেরাও জানে, যে পর্যায়ে খেলতে তারা অভ্যস্ত, এই ম্যাচে তা খেলতে পারেনি। তবে বাংলাদেশের জন্য ওরা চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটার। তাদের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন করার কোনো কারণই আমার কাছে নেই।”
“কিছুদিন আগেও অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ জিতিয়েছে রিয়াদ। প্রস্তুতি ম্যাচ না খেলায় হয়তো তার অস্বস্তি ছিল। কিন্তু তার মান নিয়ে প্রশ্ন কখনোই তুলব না। ওদের কাছ থেকে দারুণ পারফরম্যান্স এই এলো বলে।”