বিশ্বকাপের আগে এই বছর বাংলাদেশের ১৬ টি-টোয়েন্টির সবকটিই খেলেন কেবল দুজন, নাঈম ও আফিফ হোসেন। বিশ্বকাপের জন্য নাঈমকে তৈরি করার কথাও দলের পক্ষ থেকে বলা হয় অনেকবার। অথচ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে রোববার একাদশে জায়গা হয়নি বাঁহাতি এই ওপেনারের।
এই ম্যাচের দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও লিটন দাস আউট হন ৫ রান করে।
প্রক্রিয়ায় থাকা ওপেনারকে হুট করে কেন বাইরে রাখা হলো, ওমান ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এই প্রশ্নের জবাবে ডমিঙ্গো জানালেন অবাক করার মতো তথ্য।
“সিদ্ধান্তটি কঠিন ছিল (নাঈমকে বাইরে রাখা)। সৌম্য কালকে খেলেছে কারণ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বোলিং করতে পারত না। আফিফ ছাড়া তাই আমাদের ষষ্ঠ বোলার কেউ ছিল না। আমরা ভেবেছি, যদি শিশির পড়ে এবং স্পিনারদের জন্য বল গ্রিপ করা কঠিন হয়ে ওঠে, অন্য কারও সিম বোলিংয়ের প্রয়োজন হতে পারে। সৌম্য তা পারত এবং একমাত্র এই কারণেই সে গতকাল খেলেছে।”
“নাঈম আমাদের জন্য দুর্দান্ত করে আসছে। কিন্তু পিঠের অস্বস্তির কারণে রিয়াদ বোলিং করতে না পারায় বোলিংয়ের আরেকজন বিকল্প আমাদের দরকার ছিল। এখন রিয়াদ ফিট এবং বোলিং করতে পারবে, যদি আগামীকাল প্রয়োজন হয়। আমরা তাই নাঈমকে একাদশে ফেরাতে পারব।”
পরে কোচ আরও একবার নিশ্চিত করলেন, নাঈম একাদশে ফিরছেনই।
এ বছর বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি রান নাঈমেরই। তবে সেটাও ১৬ ম্যাচে কেবল ৩৫১, গড় ২৩.৪০। স্ট্রাইক রেট মোটে ৯৮.৮৭।