আবু ধাবিতে সোমবার ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে ৭ উইকেটে জিতেছে আয়ারল্যান্ড। নেদারল্যান্ডসের ১০৬ রান তারা পেরিয়ে যায় ২৯ বল বাকি থাকতে।
টি-টোয়েন্টিতে ফল হওয়া দুই দলের ১২ বারের মুখোমুখি লড়াইয়ে আয়ারল্যান্ডের এটি কেবল পঞ্চম জয়। বাকি সাতটিতে জিতেছে নেদারল্যান্ডস। এবার আইরিশ পেসারদের ঠিক মতো সামলাতে না পারায় বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি দলটি।
টানা চার বলে চার উইকেট নেওয়া ক্যাম্পারই আয়ারল্যান্ডের জয়ের নায়ক। ২৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে তিনিই জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। মার্ক অ্যাডায়ার আঁটসাঁট বোলিংয়ে ৩ উইকেট নেন কেবল ৯ রানে।
শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি নেদারল্যান্ডসের। তৃতীয় বলেই রান আউট হয়ে যান বেন কুপার। মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলে আউট হওয়া ডাচদের পাঁচ ব্যাটসম্যানের একজন তিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই প্রথম কোনো ম্যাচে গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ পেলেন একই দলের পাঁচ জন।
প্রথম সাত ব্যাটসম্যানের কেবল দুই জন- মাক্স ও’ডাওড ও কলিন আকারম্যান যেতে পারেন দুই অঙ্কে। তাদের ব্যাটেই ঘুরে দাঁড়ানোর আশা জাগায় নেদারল্যান্ডস। কিন্তু ক্যাম্পারের অসাধারণ এক ওভারে ভীষণ বিপদে পড়ে যায় তারা।
দশম ওভারে পরপর চার বলে ডাচদের চার ব্যাটসম্যানকে বিদায় করেন ক্যাম্পার। কট বিহাইন্ডের সফল রিভিউয়ে আকারম্যানকে ফিরিয়ে শুরু তার শিকার। পরের দুই বলে রায়ান টেন ডেসকাটে ও স্কট এডওয়ার্ডসকে এলিবডব্লিউ করেন তিনি। এডওয়ার্ডসের উইকেটও আসে আরেকটি সফল রিভিউয়ে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটি কেবল দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। ২০০৭ আসরে বাংলাদেশের বিপক্ষে টানা তিন বলে উইকেট নিয়ে প্রথম এই কীর্তি গড়েন অস্ট্রেলিয়ার ব্রেট লি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটাই আয়ারল্যান্ডের কারো প্রথম হ্যাটট্রিক।
পরের বলে রুলফ ফন ডার মেরওয়াকে বোল্ড করে ক্যাম্পার স্পর্শ করেন নতুন উচ্চতা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো নেন টানা চার বলে চার উইকেট। ক্রিকেটের পরিভাষায় ডাবল হ্যাটট্রিকের এই কীর্তি টি-টোয়েন্টিতে আছে আর কেবল রশিদ খান ও লাসিথ মালিঙ্গার।
২ উইকেটে ৫১ রান থেকে নেদারল্যান্ডসের স্কোর হয় ৬ উইকেটে ৫১। সেখান থেকে দলকে একশ রানে নিয়ে যান পিটার সিলার। ডাচ অধিনায়ক দুই চারে করেন ২১ রান।
একটি রান আউটসহ শেষ ৩ বলে তিন উইকেট হারিয়ে ১০৬ রানে গুটিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস।
রান তাড়ায় গ্যারেথ ডেলানির ২৯ বলে ৪৪ রানে সহজ জয় পায় আয়ারল্যান্ড। ছবি: ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড
ক্যাম্পারকে নিয়ে বাকিটা সহজেই সারেন স্টার্লিং। একটি করে ছক্কা ও চারে ৩৯ বলে ৩০ রান করেন এই ওপেনার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নেদারল্যান্ডস: ২০ ওভারে ১০৬ (ও’ডাওড ৫১, কুপার ০, ডে লেডে ৭, আকারম্যান ১১, টেন ডেসকাটে ০, এডওয়ার্ডস ০, ফন ডার মেরওয়া ০, সিলার ২১, ফন বিক ১১, ক্লাসেন ০*, গ্লভার ০; স্টার্লিং ১-০-১-০, লিটল ৪-০-১৪-১, অ্যাডায়ার ৪-০-৯-৩, সিমি ৪-০-২৭-০, ক্যাম্পার ৪-০-২৬-৪, হোয়াইট ৩-০-২৭-০)
আয়ারল্যান্ড: ১৫.১ ওভারে ১০৭/৩ (স্টার্লিং ৩০*, ও’ব্রায়েন ৯, বালবার্নি ৮, ডেলানি ৪৪, ক্যাম্পার ৭*; ক্লাসেন ৩-০-১৮-১, ফন ডার মেরওয়া ৪-০-৩৫-০, ফন বিক ৩-০-১৪-০, গ্লভার ৩-০-২১-০, সিলার ২.১-০-১৪-১)
ফল: আয়ারল্যান্ড ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: কার্টিস ক্যাম্পার