আবু ধাবিতে সোমবার ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে কলিন আকারম্যান, রায়ান টেন ডেসকাটে, স্কট এডওয়ার্ডস ও রুলফ ফন ডার মেরওয়াকে ফিরিয়ে দেন ক্যাম্পার।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এর আগে হ্যাটট্রিক ছিল একটি। ২০০৭ সালে প্রথম আসরে বাংলাদেশের বিপক্ষে করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার গতিময় পেসার ব্রেট লি।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট তো বটেই, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই আয়ারল্যান্ডের হয়ে প্রথম হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়লেন ক্যাম্পার।
শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা নেদারল্যান্ডস শুরুর ধাক্কা সবে সামাল দিয়ে উঠছিল। ৯ ওভার শেষে তাদের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ৫০। পরের ওভারে যেন তাদের জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে এলেন ক্যাম্পার।
শিকার শুরু করলেন আকারম্যানকে ফিরিয়ে। লেগ স্টাম্পের বাইরে শর্ট বলে পুল করেন আকারম্যান। ঠিক মতো খেলতে পারেননি, আইরিশদের জোরালো আবেদনে সাড়া না দিয়ে আম্পায়ার দেন ওয়াইড। একটু ভেবে রিভিউ নেন আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবার্নি। আল্ট্রাএজে মেলে ব্যাটসম্যানের গ্লাভসে বল স্পর্শের প্রমাণ। কট বিহাইন্ড হয়ে ফিরে যান আকারম্যান।
পরের বলে মেলে বড় উইকেট। প্রথম বলেই এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন টেন ডেসকাটে। স্টাম্প সোজা ফুল লেংথ বলের লাইন মিস করেন তিনি।
হ্যাটট্রিক বল ব্যাটে খেলতে পারেননি এডওয়ার্ডস, লাগে প্যাডে। কিন্তু এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। এবারও রিভিউ নেন আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক। হক আইয়ে দেখা যায়, বল লাগতো লেগ স্টাম্পে। পাল্টায় সিদ্ধান্ত, হয়ে যায় আসরের প্রথম হ্যাটট্রিক।
পরের বলে চমৎকার এক ডেলিভারিতে ফন ডার মেরওয়াকে বোল্ড করে দেন ক্যাম্পার। গড়েন বিশ্বকাপে ডাবল হ্যাটট্রিকের অনন্য কীর্তি। ওভারের শেষ বলে সিঙ্গেল নেন পিটার সিলার।
প্রথম ওভারে ১২ রান দেওয়া ক্যাম্পারের দুই ওভার শেষে বোলিং ফিগার ২-০-১৪-৪!
টানা চার বলে চার উইকেট নেওয়াকে ক্রিকেটের পরিভাষায় বলে ডাবল হ্যাটট্রিক। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই কীর্তি আছে আর কেবল দুটি। ২০১৯ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম করেন আফগান লেগ স্পিনার রশিদ খান। সেই বছরই নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে পাল্লেকেলেতে তার পাশে বসেন শ্রীলঙ্কার পেসার লাসিথ মালিঙ্গা।