পাপুয়া নিউ গিনিকে ১০ উইকেটে হারিয়ে ওমানের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিযান শুরুর ম্যাচে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন জিশান। রোববার আল আমেরাত স্টেডিয়ামে ঘাসের ছোঁয়া থাকা উইকেটে ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন তিনি।
দারুণ এই পারফরম্যান্সে ২০ ওভারের বিশ্বকাপের ইতিহাসে অধিনায়কদের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডে তিনি বসেন ড্যানিয়েল ভেটোরির পাশে। ২০০৭ আসরে ভারতের বিপক্ষে রেকর্ডটি গড়েছিলেন নিউ জিল্যান্ডের কিংবদন্তি স্পিনার।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ইনিংসে ৪ উইকেট নিলেন জিশান। এই মাঠেই কিছুদিন আগে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি মাত্র ৭ রান দিয়ে।
১৫ ওভারে ৪ উইকেটে ১১২ রান তুলে দেড়শর পথে ছুটছিল পাপুয়া নিউ গিনি। জিশানের হাত ধরে ঘুরে দাঁড়ায় ওমান। নিজের প্রথম ওভারে ১১ রান দেওয়া বাঁহাতি স্পিনার ষোড়শ ওভারে মাত্র ১ রান দিয়ে তুলে নেন নরমান ভানুয়া, সেসে বাউ ও কিপলিন ডরিগার উইকেট।
অষ্টাদশ ওভারে ৩ রান দিয়ে ডেমেইন রাভু্কে ফিরিয়ে তিনি পূর্ণ করেন ৪ উইকেট। ইনিংসের শেষ ওভারে ৫ পাঁচ রান দিয়ে শেষ করেন নিজের স্পেল। পিএনজি থামে ১২৯ রানে।
ম্যাচ শেষে ওমান অধিনায়ক বললেন, তার লক্ষ্য ছিল সঠিক লাইনে বোলিং করে যাওয়া এবং কোনো আলগা বল না দেওয়া।
“যখন তারা খুব ভালো ব্যাটিং করছিল তখনই আমি উইকেট পেলাম। আমরা (নিয়মিত) উইকেট নেওয়ার কারণে তারা বড় স্কোর গড়তে পারেনি। আমি শুধু সঠিক লাইনে বোলিং করার চেষ্টা করেছি এবং আলগা বল দেইনি। আমরা জানতাম, উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো। তাই আমাদের নিশ্চিত করা দরকার ছিল যেন আলগা বল এবং সহজে বাউন্ডারি না দিই।”
১১ ওভারে ৮০ রান তুলে ফেলেছিল পাপুয়া নিউ গিনি। দ্বাদশ ওভারে মোহাম্মদ নাদিমের সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট হয়ে যান ২৬ বলে ৩৭ রান করা চার্লস আমিনি। এটিকেই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট বলছেন জিশান।
“নাদিমের করা ওই রান-আউটে ম্যাচ আমাদের দিকে চলে আসে। এটি আমাদের হোম কন্ডিশন। জানতাম, এমনকি ১৪০ রানও সহজেই তাড়া করা যাবে। পরের ইনিংসে উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য খুব ভালো ছিল।”