আল আমেরাত স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচে পিএনজিকে ১০ উইকেটে হারায় ওমান। প্রতিপক্ষের দেওয়া ১৩০ রানের লক্ষ্য তারা ছুঁয়ে ফেলে ৩৮ বল বাকি থাকতে।
২০ ওভারের বিশ্বকাপে ১০ উইকেটে জয় আর কেবল আছে দুটি। ২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়া হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কাকে, আর ২০১২ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
পিএনজিকে অল্পতে থামিয়ে দেওয়ার কারিগর ওমান অধিনায়ক জিশান মাকসুদ। ২০ রানে ৪ উইকেট নিয়ে বাঁহাতি এই স্পিনার স্পর্শ করেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অধিনায়কদের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। নাম লেখান আগে থেকেই শীর্ষে থাকা ড্যানিয়েল ভেটোরির পাশে।
ভালার ৫৬ রানের ইনিংসে লড়াকু পুঁজি পাওয়া পিএনজির আশা ভেঙে দেন ইলিয়াস ও জাতিন্দার। ৫০ রান করে অপরাজিত ছিলেন ইলিয়াস, ৭৩ রান করেন জাতিন্দার।
বৈশ্বিক আসরে পথচলা শুরুর ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম দুই ওভারে দুই উইকেট হারায় পিএনজি; বোল্ড হন দুই ওপেনার টনি উরা ও লেগা সিয়াকা।
ঘাষের ছোঁয়া থাকা উইকেটে রানের খাতা খোলার আগেই ২ উইকেট হারানো দলের হাল ধরেন ভালা ও চার্লস আমিনি। দুইজনের ব্যাটে এগোতে থাকে পিএনজি, বাড়তে থাকে রান।
তাদের জমে যাওয়া ৬০ বলে ৮১ রানের জুটি ভাঙ্গে আমিনির রান আউটে। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান করেন ৩৭। এরপর দলকে কিছুক্ষণ টানেন ৪০ বলে ফিফটি করা ভালা।
তিনিও এরপর টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। কলিমউল্লাহর বলে ব্যাটের কানায় লেগে ধরা পরেন লং-অনে। ৪৩ বলে ৩ ছক্কা ও ৪ চারে করেন ৫৬।
ম্যাচ সেরা জিশান এক ওভারে তিন উইকেট নিয়ে ধসিয়ে দেন দলটির লোয়ার মিডল-অর্ডার। শেষ দিকের ৬ ব্যাটসম্যানের একজনও যেতে পারেননি দুই অংকে।
রান তাড়ায় শুরুর কয়েক ওভার দেখেশুনে খেলেন ইলিয়াস ও জাতিন্দার। ধীরে ধীরে আগ্রাসী হয়ে পাওয়ার প্লেতে ৪৬ রান তোলেন তারা।
এরপর ওমানের রান আসতে থাকে আরও দ্রুত। প্রতি ওভারেই দুই ওপেনার তুলে নেন বাউন্ডারি। আমিনিকে ওভারে ছক্কা-চার মারেন ইলিয়াস। পরপর দুই ওভারে ভালা ও আমিনিকে ছক্কায় ওড়ান জাতিন্দার।
ডেমেইন রাভুকে ছক্কায় উড়িয়ে ৩৩ বলে ফিফটি করেন জাতিন্দার। ৪৩ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় পঞ্চাশ আসে ইলিয়াসের। চতুর্দশ ওভারের চতুর্থ বলে আমিনিকে ছয় মেরে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন জাতিন্দার। ৪২ বলে ৭টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৭৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
আগামী মঙ্গলবার দুই দল মাঠে নামবে আবার। দিনের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের মুখোমুখি হবে পিএনজি, পরেরটিতে ওমানের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: পাপুয়া নিউ গিনি: ২০ ওভারে ১২৯/৯ (টনি ০, সিয়াকা ০, ভালা ৫৬, আমিনি ৩৭, বাউ ১৩, ভানুয়া ১, আটাই ৩, ডরিগা ০, রাভু ১, মোরেয়া ৬*, পোকানা ৫*; বিলাল ৪-১-১৬-২, কলিমউল্লাহ ৩-০-১৯-২, ইলিয়াস ৪-০-২৮-০, নাদিম ৩-০-২৩-০, খাওয়ার ২-০-১৭-০, জিশান ৪-০-২০-৪)। ওমান: ১৩.৪ ওভারে ১৩১/০ (ইলিয়াস ৫০*, জাতিন্দার ৭৩*; মোরেয়া ২-০-১৮-০, রাভু ৩-০-২৮-০, পোকানা ২-০-১৫-০, আটাই ১-০-৯-০, আমিনি ২.৪-০-৩১-০, ভালা ১-০-১১-০, সিয়াকা ২-০-১৭-০)। ফল: ১০ উইকেটে জয়ী ওমান। ম্যান অব দা ম্যাচ: জিশান মাকসুদ |