গেইল-রাসেল নন, মাহমুদউল্লাহর স্বাদ উইলিয়ামসনের রেসিপিতে

চেষ্টা করে কী আর ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল বা কাইরন পোলার্ড হওয়া যায়! জিম-টিম করে, ফিটনেস ট্রেনিং করে পেশির জোর হয়তো কিছু বাড়ানো যায়। শরীর পোক্ত করা যায়। শটের পরিধি বিস্তৃত করা যায়। নিজেকে সমৃদ্ধও করা যায়। কিন্তু গেইল-রাসেল হতে গেলে তো সহজাত সামর্থ্য, প্রকৃতিগত শারীরিক সুবিধাও লাগে। অধ্যবসায়ে বরং কেন উইলিয়ামসন হওয়া যেতে পারে। বাংলাদেশ দল এখন সেই চেষ্টাই করছে!

ক্রীড়া প্রতিবেদকমাসকাট থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Oct 2021, 05:34 AM
Updated : 17 Oct 2021, 05:34 AM

প্রসঙ্গটি পুরনো। বাংলাদেশ দলে কিংবা বাংলাদেশ ক্রিকেটেই পাওয়ার হিটারের অভাব। সমাধানও আগের মতোই। আপাত কোনো সমাধান নে! বিকল্প পথও নতুন নয়। স্কিল হিটিং দিয়ে পাওয়ার হিটিংয়ে ঘাটতি পুষিয়ে দেওয়ার আলোচনাও অনেক হয়েছে। তবে সেই পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা কিংবা দিশারি হিসেবে একজনের নাম শোনা গেল নতুন করে। নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক উইলিয়ামসন।

টেস্ট-ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টিতেও তিনি যথেষ্ট সফল। সাফল্যের পথও সেই একই, প্রথাগত ব্যাটিং। টি-টোয়েন্টিতেও পেশি শক্তির ব্যাপার তেমন নেই তার ব্যাটিংয়ে। মাঠে ফাঁক খুঁজে বের করা, বলে রেশমি পেলব ছুঁইয়ে দিয়ে টাইমিং আর স্কিল দিয়ে চার-ছক্কা আদায় করা, আর মাঝেমধ্যে উদ্ভাবনী কিছু শট, এই রেসিপি মেনেই ২০ ওভারের ক্রিকেটে যথেষ্ট কার্যকর উইলিয়ামসন।

বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদেরও একই পথের পথিক হিসেবে দেখতে চান মাহমুদউল্লাহ। পাওয়ার হিটার না থাকার পুরনো আক্ষেপ নতুন করে উঠল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে। বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন, গায়ের জোর ছাড়াও এই সংস্করণে সফলতার উপায় আছে।

“আপনি যদি পাওয়ার হিটার চিন্তা করেন তাহলে কাকে বলবেন? ক্রিস গেইল, কাইরন পোলার্ড, আন্দ্রে রাসেল, তারা সবাই পাওয়ার হিটার। কিন্তু আপনি যদি চিন্তা করেন কেন উইলিয়ামসন, তাকে কি পাওয়ার হিটার বলবেন?  সে খুবই স্কিলফুল হিটার ও স্কিলফুল ব্যাটসম্যান।”

“আমার মনে হয়, আমাদের ব্যাটিং শক্তির মূল বিষয়টা হলো, সম্ভবত আমরা স্কিল হিটিংয়ে নিজেদের এগিয়ে রাখতে চাইব এবং আমার মনে হয়, দল হিসেবে আমাদের সেই সামর্থ্য আছে। পাওয়ার হিটার হয়ে ওঠার চেয়ে স্কিলফুল হিটার হয়ে উঠতে পারি আমরা। এটা নিয়ে আমরা সবাই কথা বলেছি এবং আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সেই সামর্থ্য আছে। মাঠে ওই ব্যাপারগুলো বাস্তবায়ন করতে পারলে ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা ভালো করতে পারি।”

কতটা পারবে বাংলাদেশ ও ব্যাটসম্যানরা, সেটির আরেকটি পরীক্ষা শুরু রোববার থেকেই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম দিনে ওমানে মাহমুদউল্লাহর দল মুখোমুখি হবে স্কটল্যান্ডর।