লম্বা সময় ধরে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলেন না স্মিথ। সবশেষ এই সংস্করণে দলে ছিলেন গত ডিসেম্বরে, ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে। কনুইয়ের চোট থেকে পুরোপুরি সেরে উঠতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশ সফর থেকেও নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন তারকা এই ব্যাটসম্যান।
সংযুক্ত আরব আমিরাতেই মাঠে গড়ানো আইপিএলে অবশ্য খেলেন স্মিথ। কোয়ালিফায়ার থেকে বাদ পড়া দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলেন ৮ ম্যাচ, যদিও নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে পারেননি তিনি। ১১২.৫৯ স্ট্রাইক রেটে রান করেন কেবল ১৫২, ফিফটি নেই একটিও।
৩২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের বাজে ফর্ম অবশ্য একটুও ভাবাচ্ছে না ফিঞ্চকে। বিশ্বকাপ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে বৃহস্পতিবার স্মিথের সামর্থ্যে নিজের কোনো সংশয় নেই বলে জানান অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক।
“সে (স্মিথ) এমন একজন, যে মাঝের ওভারগুলোতে মানিয়ে নিতে পারে। তার মাঠের চারপাশে ৩৬০ (ডিগ্রি) খেলার সামর্থ্য, স্পিন খুব ভালো খেলার সক্ষমতা আছে এবং সে একজন অবিশ্বাস্য ফিল্ডার...দলে সে আমাদের অনেক বিকল্প ও সুবিধা এনে দেয়।”
অপ্রথাগত ব্যাটিং স্টান্স, ব্যাটিংয়ের সময় চাঞ্চল্যভাব, উইকেটে লাগাতার নড়াচড়া স্মিথকে বাকিদের থেকে আলাদা করে রাখে। এতে অবশ্য তার কার্যকারিতা একটুও কমে বলে মনে করেন না ফিঞ্চ। উল্টো তার ধারণা, এমন ব্যাটিং স্মিথকে এগিয়ে রাখে বাকিদের তুলনায়।
“সে এমন একজন, যে কিনা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অন্যদের চেয়ে একটু আলাদা, যারা সবসময় বাউন্ডারি পার করার চেষ্টায় থাকে।”
“সে নিপুণ কৌশলে বলকে মাঠের বিভিন্ন জায়গায় খেলতে পারে এবং বাকিদের মতো একই ফলাফল পায়। আবার ভিন্ন উপায়ে খেলে মাঝে মধ্যে অন্যদের থেকেও ভালো ফল বের করে।”
ওয়ানডে ক্রিকেটে রেকর্ড পাঁচবার বিশ্বকাপ জিতলেও এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপার স্বাদ পায়নি অস্ট্রেলিয়া। ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙার অভিযান আগামী ২৩ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ দিয়ে শুরু করবে তারা।