স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে,
বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৯ হাজার ২১৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৩১৯ জন নতুন
রোগী শনাক্ত হয়েছে।
তাতে ১৩ ফেব্রুয়ারির পর প্রথমবারের
মত দৈনিক শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৩২ শতাংশে পৌঁছেছে। আগের দিন এই হার ছিল ১৩ দশমিক ৩০
শতাংশ।
করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের
দাপট কমে আসার পর শনাক্তের হার ১ শতাংশের নিচে ছিল বেশ কিছু দিন। দৈনিক শনাক্ত রোগীর
সংখ্যা দশের নিচেও নেমেছিল। মাঝে ২০ দিন কোভিডে কারও মৃত্যু হয়নি।
কিন্তু জুন মাসের শুরু থেকে
আবারও সংক্রমণ বাড়ছে প্রতিদিন। গত চারদিন ধরে মৃত্যুর খাতাও আর শূন্য থাকছে না।
নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত
রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৬০ হাজার ৫২৮ জন। তাদের মধ্যে ২৯ হাজার ১৩১ জনের প্রাণ
কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন
আরও ১২৭ জন কোভিড রোগী। তাদের নিয়ে ১৯ লাখ ৬ হাজার ২৩২ জন সেরে উঠলেন।
গত এক দিনে শনাক্ত ৮৭৪ নতুন
রোগীর মধ্যে ১১৬৩ জনই ঢাকা মহানগর ও জেলার বাসিন্দা। গত একদিনে ষাটোর্ধ্ব যে
পুরুষের মৃত্যু হয়েছে, তিনিও ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়েছে
চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর বিভাগের ৩০টি জেলায়। গত এক
দিনে সিলেট বিভাগে কোনো শনাক্ত রোগী পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
মহামারীর মধ্যে সার্বিক শনাক্তের
হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের
প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের
মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন
পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১
সালের ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের
সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত
হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬৩ লাখ ২৪ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে
৫৪ কোটি ১৪ লাখ।