২০২০ সালের ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যু হওয়ার পর এতদিন করোনাভাইরাসে মৃত্যুহীন ছিল না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শনিবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৯৬৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ২২ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৫৫ শতাংশ। আগের দিন এই হার শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ ছিল।
নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৫২ হাজার ৯৭৯ জন।
গত একদিনে কারও মৃত্যু না হওয়ায় মোট সংখ্যাও আগের মত ২৯ হাজার ১২৭ জন রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও ২২০ জন কোভিড রোগী। তাদের নিয়ে ১৮ লাখ ৯৯ হাজার ১৫০ জন সেরে উঠলেন।
এই হিসাবে দেশে এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২৪ হাজার ৭০৯ জন। অর্থাৎ তারা কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর এখনও সুস্থ হননি।
গত এক দিনে শনাক্ত ২২ জন নতুন রোগীর মধ্যে ১৩ জন ঢাকা মহানগর ও জেলার বাসিন্দা। আর নারায়ণগঞ্জে একজন এবং সিলেটে ৮ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
মহামারীর মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬২ লাখ ৬২ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৫২ কোটি ৬ লাখের বেশি।