এ বছর মার্চে সব মিলিয়ে ৮ হাজার কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ৮৫ জনের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, আগের মাসের তুলনায় মার্চে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ৯৪ শতাংশ, আর মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে প্রায় ৮৭ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, মার্চে সারাদেশে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪ লাখ ২২ হাজার ৬৬৮টি, যেখানে ফেব্রুয়ারি মাসে এই সংখ্যা ছিল ৯ লাখ ২২ হাজার ৬৫৭। তার মানে আগের মাসের চেয়ে গেল মাসে নমুনা পরীক্ষা কমেছে ৫৪ দশমিক ১৯ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারি মাসে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৭৪৪ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছিল। মার্চে তা কমে ৮ হাজার জনে নেমে আসে। অর্থ্যাৎ মাসের ব্যবধানে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ৯৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারিতে ৬৪৩ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মার্চে এই সংখ্যা নেমেছে ৮৫ জনে। এক মাসে মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে ৮৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের দাপটে ডিসেম্বরে শেষ সপ্তাহ থেকে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়ায়। ২৮ জানুয়ারি নমুনার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশে পৌঁছায়, যা এ যাবৎকালেন সর্বোচ্চ।
ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে সংক্রমণ আবার কমতে থাকে। ২৫ মার্চ শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৫৪ শতাংশে নামে, যা মহামারীর মধ্যে সর্বনিম্ন। দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও নেমে আসে একশর নিচে। গত দুইদিন ধরে কোনো মৃত্যু নেই।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানাচ্ছে, দেশে গত একদিনে আরও ৮১ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, এ সময়ে কোভিডে কারও মৃত্যু হয়নি।
নতুন রোগীদের নিয়ে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫১ হাজার ৬৫৮ জনে। সর্বশেষ দিনে কারও মৃত্যু না হওয়ায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ১২২ জনেই রয়েছে।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে সেরে উঠেছেন আরও ৮৯৩ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৮ লাখ ৮২ হাজার ১৯৭ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আর গত বছরের ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
সবমিলিয়ে সার্বিক শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে বলে জানাচ্ছে স্বাস্থ্যের পরিসংখ্যান। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্র্যাকার বলছে, শুক্রবার পর্যন্ত বিশ্বে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়ে মারা গেছে ৬১ লাখ ৪৩ হাজারের বেশি মানুষ। আর আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯ কোটি ছুঁই ছুঁই করছে।