বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হওয়া নতুন রোগীদের মধ্যে ১০৮ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। আর তাদের মধ্যে ৯৪ জনই ঢাকা জেলার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে শনাক্ত রোগীদের নিয়ে মহামারীর মধ্যে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১৯ লাখ ৫০ হাজার ৯৮০ জন হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় গাজীপুরে একজনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। এ নিয়ে মহামারীতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ১১৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে সেরে উঠেছেন আরও ৯২১ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৮ লাখ ৭৩ হাজার ৭৬৬ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
গতবছরের শেষ দিকে বাংলাদেশে সংক্রমণ কমে এলেও অতি সংক্রামক ওমিক্রন ধরনের দাপটে এ বছরের শুরুতে তা আবার বেড়ে যায়। ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে তা আবার কমতে শুরু করে।
গত বছরের ৮ ডিসেম্বরের পর গত ১৬ মার্চ একদিনে কারও মৃত্যু না হওয়ার খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ওই সময় টানা তিনদিন কারও মৃত্যু হয়নি। এরপর ১৮ মার্চ দুজন, ২০ মার্চ ৩ জনের মৃত্যুর খবর আসে করোনাভাইরাসে। সোমবার এবং মঙ্গলবার দিন কারও মৃত্যু হয়নি করোনাভাইরাসে।
গত একদিনে নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১ দশমিক ২৭ শতাংশ। মহামারীর মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ১৯ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬০ লাখ ৯৯ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৪৭ কোটি ৪২ লাখের বেশি।