কোভিড: ডেল্টা উধাও, সবাই এখন ওমিক্রনে আক্রান্ত

দেশে এখন যারা কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের সবার শরীরেই করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনটির সংক্রমণ পাওয়া পাচ্ছে বলে জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 March 2022, 09:26 AM
Updated : 31 March 2022, 05:30 AM

রোববার এক প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, গত ১ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি দেশের ৫টি বিভাগে কোভিড রোগীদের শরীর থেকে সংগ্রহ করা ৭৪টি করোনাভাইরাসের নমুনার জেনোম সিকোয়েন্স করে এই তথ্য মিলেছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, ওই রোগীদের ১০০ শতাংশই ওমিক্রণে সংক্রমিত। তাদের মধ্যে ৯৬ শতাংশ ওমিক্রনের ‘বিএ.২’ উপধারায় এবং বাকি ৪ শতাংশ ‘বিএ ১’ উপধারায় আক্রান্ত।

যে ৪ শতাংশের মধ্যে ওমিক্রনের বিএ.১ ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে, তারা সবাই ঢাকার বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর।

ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ থেকে নমুনা নিয়ে এই গবেষণা চালানোর কথা জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে।

এর আগে গত ১ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশ থেকে ২২০টি নমুনার জেনোম সিকোয়েন্স করে আইইডিসিআর জানিয়েছিল, ৮৭ শতাংশ রোগী ওমিক্রনে এবং বাকি ১৩ শতাংশ গতবছর প্রাধান্য বিস্তার করা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত।

ওই রোগীদের মধ্যে যারা জানুয়ারির দ্বিতীয়ার্ধ্বে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাদের ৯৮ শতাংশই ওমিক্রনে সংক্রমিত ছিলেন।

অনেক বেশি প্রাণঘাতী ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট এখন না থাকায় মহামারী পরিস্থিতির কতটা উন্নতি হবে জানতে চাইলে আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যে কোনো পরিবর্তনই ইতিবাচক হবে এমন নয়। ইতিবাচকও হতে পারে, নেতিবাচক প্রভাবও পড়তে পারে।

“পরিস্থিতি বর্তমানের চেয়ে ভালো হতে পারে, এরচেয়ে ভীতিকরও হতে পারে। দেখতে হবে পরিবর্তন হলে ভাইরাসের সংক্রমণ সক্ষমতা কতটা বাড়ে বা কমে। অথবা সিভিয়ারিটি বাড়ে নাকি কমে। তবে এখন যে অবস্থায় আছে, তাতে আমরা হয়ত কিছুটা স্বস্তিতে থাকতে পারব। এরপরও বলব সতর্কতার বিকল্প নেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।”

গত বছরের ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশে দুজন নারী ক্রিকেটারের শরীরে প্রথম ওমিক্রন ভ্যরিয়েন্ট পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ওই দুজন জিম্বাবুয়ে থেকে ফিরেছিলেন। পরে তারা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন।

অত্যন্ত দ্রুত ছড়ানো ওমিক্রনের দাপটে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকেই দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে আশঙ্কাজনক হারে। ফেব্রুয়ারিতে তা আবার কমতে শুরু করে।