শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার নমুনা পরীক্ষা করে ৩৬৮ রোগী শনাক্তের খবর দেওয়া হয়।
তাকে দৈনিক শনাক্তের হার নেমেছে ২ দশমিক ১১ শতাংশে।
নতুন রোগীদের নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৪৬ হাজার ৭৩৭ জন।
এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। তাদের নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৯ হাজার ৭৭ জনের।
সরকারি হিসাবে এই সময়ে সেরে উঠেছেন ৪ হাজার ১৮ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৮ লাখ ৩৯ হাজার ৯৯৮ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
সে হিসাবে দেশে এখন সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ৭৭ হাজার ৬৬২ জন। অর্থাৎ এই সংখ্যক রোগী নিশ্চিতভাবে সংক্রমিত অবস্থায় রয়েছে। তবে উপসর্গবিহীন রোগীরা এই হিসাবে আসেনি।
গত ১ জানুয়ারি দেশে ৩৭০ রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তারপর ওমিক্রনের দাপটে রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েছে। জানুয়ারিতে দিনে শনাক্তের সংখ্যা ৬ হাজারও ছাড়িয়েছিল।
ফেব্রুয়ারির মাঝমাঝি থেকে শনাক্তের সংখ্যা আবার ধারবাহিকভাবে কমছে।
শনিবারের চেয়ে কম রোগী সর্বশেষ শনাক্ত হয়েছিল গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর। সেদিন ২৬৮ জন রোগীর দেহে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল।
মহামারীর মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৪১ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
গত এক দিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ২৮৭ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা, যা মোট আক্রান্তের ৭৭ শতাংশের বেশি।
যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে সাতজন পুরুষ এবং ছয়জন নারী। আটজনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
মৃতদের মধ্যে সাতজনের বয়স ৬০ বছরের বেশি, পাঁচজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর এবং একজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৫৯ লাখ ৮৮ হাজারেরও বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৪৪ কোটি ৩৪ লাখের বেশি।