স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ২২ হাজার নমুনা পরীক্ষা করে ৬৫৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে, মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের।
এর আগে এর চেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়েছিল ওমিক্রনের দাপটের শুরুর দিকে, গত ৩ জানুয়ারি, সেদিন ৬৭৪ জনের কোভিড পরীক্ষার ফল পজিটিভ এসেছিল।
তারপর সংক্রমণ বাড়তে বাড়তে এক পর্যায়ে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৬ হাজারও ছড়িয়ে গিয়েছিল। জানুয়ারির শেষ দিক থেকে তা আবার কমে আসছে।
বৃহস্পতিবার নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার কমে ২ দশমিক ৯১ শতাংশ হয়েছে। এর চেয়ে কম শনাক্তের হার ছিল সর্বশেষ ১ জানুয়ারি, সেদিন ২ দশমিক ৪৩ শতাংশ নমুনায় সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছিল।
নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ জন। তাদের মধ্যে ২৯ হাজার ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এ ভাইরাসে।
সরকারি হিসাবে এই সময়ে সেরে উঠেছেন ৪ হাজার ৬২৮ জন। তাদের নিয়ে এই পর্যন্ত ১৮ লাখ ৩১ হাজার ৫৭৭ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
সে হিসাবে দেশে এখন সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ৮৫ হাজার ১৩০ জন। অর্থাৎ এই সংখ্যক রোগী নিশ্চিতভাবে সংক্রমিত অবস্থায় রয়েছে। তবে উপসর্গবিহীন রোগীরা এই হিসাবে আসেনি।
মহামারীর মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
গত এক দিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ৪৪৮ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা, যা মোট আক্রান্তের ৬৮ শতাংশের বেশি।
যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে একজন পুরুষ এবং চারজন নারী। পাঁচজনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
মৃতদের মধ্যে দুইজনের বয়স ৭০ বছরের বেশি, দুইজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর এবং একজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৫৯ লাখ ৭৪ হাজারেরও বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৪৪ কোটি ৫ লাখের বেশি।