কোভিড: ১৩ জেলায় নতুন রোগী নেই

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমার ধারায় গত এক দিনে দেশের ১৩ জেলায় নতুন কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি, একশর বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে কেবল ঢাকা জেলায়।  

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Feb 2022, 10:30 AM
Updated : 28 Feb 2022, 03:40 AM

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ২১ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ৮৬৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে; মৃত্যু হয়েছে আরও ৯ জনের।

শনিবার সারা দেশে ৭৫৯ নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল, মৃত্যু হয়েছিল ৮ জনের। সেই হিসেবে গত এক দিনে শনাক্ত ও মৃত্যু দুটোই সামান্য বেড়েছে। তবে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার আরও একটু কমেছে।

গত এক দিনে প্রতি একশ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪ দশমিক ০১ জনের কোভিড পজিটিভ এসেছে। আগের দিন এই হার ছিল ৪ দশমিক ১৫ শতাংশ।

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের বিস্তারে চলতি বছরের শুরু থেকে দেশে আবার সংক্রমণ বাড়তে থাকে দ্রুত। ২৫ জানুয়ারি শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়িয়ে যায়। ২৮ জানুয়ারি শনাক্তের হার পৌঁছায় ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশে, যা এ মহামারীকালের রেকর্ড।

এরপর সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে, ৪ ফেব্রুয়ারি শনাক্ত রোগীর সংখ্যা নেমে আসে ১০ হাজারের নিচে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি তা পাঁচ হাজারের নিচে নামে।

নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৪২ হাজার ৬৮০ জন। তাদের মধ্যে ২৯ হাজার ৩৩ জনের প্রাণ গেছে এ মহামারীতে।

সরকারি হিসাবে এই সময়ে সেরে উঠেছেন ৬ হাজার ২৬৪ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৮ লাখ ৬ হাজার ৬৮৯ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।

এই হিসাবে দেশে এখন সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা এক লাখ ৬ হাজার ৯৫৮ জন। অর্থাৎ এই সংখ্যক রোগী নিশ্চিতভাবে সংক্রমিত অবস্থায় রয়েছে।

মহামারীর মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৫২ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

গত এক দিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ৬২২ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা, যা মোট আক্রান্তের ৭২ শতাংশ।

এর মধ্যে কেবল ঢাকা জেলাতেই ৫৫৭ জনের কোভিড পজিটিভ হয়েছে। দেশের আর কোনো জেলায় একশর বেশি রোগী শনাক্ত হয়নি গত এক দিনে। এই সময়ে ১৩ জেলায় নতুন কোনো কোভিড রোগী শনাক্ত হয়নি।  

যে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে ছয়জন পুরুষ এবং তিনজন নারী। তাদের মধ্যে পাঁচজন ঢাকা বিভাগের বিভাগের এবং তিনজন রাজশাহী বিভাগের এবং একজন খূলনা বাসিন্দা ছিলেন।

তাদের মধ্যে ৭ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। একজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছিল এবং একজনের বয়স ছিল ২০ বছরের কম।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।

বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৫৯ লাখ ৪৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৪৩ কোটি ৪৩ লাখ।