এখন বলা হচ্ছে, করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ প্রকাশের ১০ দিন পর্যন্ত আইসোলেশনে থাকতে হবে।
আর কোভিড-১৯ রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন, কিন্তু তাদের কোভিডের কোনো উপসর্গ নেই, এমন ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনের প্রয়োজন নেই।
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরী পরামর্শক কমিটির বুধবার এক সভায় এমন সুপারিশ করেছে।
দেশে ২০২০ কোভিড-১৯ সংক্রমণ শুরুর পর বিভিন্ন সময় জাতীয় কমিটি যেসব পরামর্শ দিয়েছে, তাতে কোভিড আক্রান্ত হলে সতর্কতা হিসেবে ১৪ দিনের আইসোলেশনের কথা বলা হয়েছিল। আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসা সবাইকেই কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছিল।
দুই বছর গড়িয়ে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের প্রভাব রোগীর সংখ্যা যখন আবার উর্ধমুখী তখন নিয়মে পরিবর্তন আনার সুপারিশ করল জাতীয় কারিগরী পরামর্শক কমিটি।
মঙ্গলবারের বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানিয়ে বুধবার কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো.সহিদুল্লাহর স্বাক্ষরে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “কোভিড আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের আইসোলেশনের প্রয়োজন নেই। তবে তাদের টাইট মাস্ক পরার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।”
মানুষকে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণের সুপারিশও করেছে কমিটি। এছাড়া জনপ্রতিনিধি ও ধর্মীয় প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণকে সঠিকভাবে মাস্ক পরা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া বিমানবন্দরসহ দেশের সবগুলো প্রবেশপথে সরকারি স্বাস্থ্য নির্দেশনা যথাযথভাবে পালনের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নজরদারি বাড়ানোসহ সব সরকারি হাসপাতালে সার্বক্ষণিক কোভিড-১৯ ও নন-কোভিড রোগীর জরুরি চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সুপারিশ করেছে কমিটি।
সংক্রমণ ঠেকাতে যে ১১ দফা নির্দেশনা সরকার দিয়েছিল, তা বাস্তবায়নে পরিবহন মালিক সমিতি, দোকান মালিক সমিতি, রেস্তোরা মালিক সমিতিসহ সবাইকে সম্পৃক্ত করার সুপারিশও করেছে জাতীয় কমিটি।