কোভিড: ১৫ সপ্তাহ পর শনাক্তের হার ৫ শতাংশের উপরে

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের বিস্তারের মধ্যে দেশে ১৫ সপ্তাহ পর দৈনিক নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্ত কোভিড রোগীর হার আবার ৫ শতাংশের উপরে উঠে গেছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Jan 2022, 11:44 AM
Updated : 7 Jan 2022, 12:57 PM

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২০ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ১৪৬ জনের কোভিড শনাক্ত হয়েছে। তাতে নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার দাঁড়াচ্ছে ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

এর আগে সর্বশেষ শনাক্তের হার পাঁচের উপরে ছিল ২০ সেপ্টেম্বর। সেদিন শনাক্তের হার ছিল ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের দাপটের সময় গতবছর জুলাই-অগাস্ট সময়ে দৈনিক শনাক্তের হার ৩০ শতাংশও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এরপর তা নামতে নামতে জুলাই মাসে ২ শতাংশের নিচে চলে আসে।

ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণেই ছিল। কিন্তু এরমধ্যেই বিশ্বে শুরু হয় ওমিক্রনের ত্রাস। ৩ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্তের হার ৩ শতাংশ এবং ৫ জানুয়ারি তা ৪ শতাংশ ছাড়ায়। দুই দিনের মাথায় তার ছাড়িয়ে গেল পাঁচ শতাংশের ঘর।

 

নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৯১ হাজার ৯৩ জনে। গত এক দিনে আরও একজন কোভিড রোগীর মৃত্যু হওয়ায় সব মিলিয়ে ২৮ হাজার ৯৮ জনের মৃত্যু হল এ ভাইরাসে।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আগের ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ১৪০ জন নতুন রোগী শনাক্ত এবং ৭ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল। সে হিসেবে গত এক দিনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা সামান্য বেড়েছে।

সরকারি হিসাবে গত এক দিনে দেশে সেরে উঠেছেন ১৭০ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৫৩৪ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।

গত একদিনে শনাক্ত নতুন রোগীদের মধ্যে ৯০২ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা, যা মোট আক্রান্তের ৭৮ শতাংশের বেশি। দেশের ২৬টি জেলায় একদিনে কারও করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ২৮।

যে কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে, তার বয়স ছিল ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে, ময়মনসিংহের একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা গেছে। দেশের বাকি সাত বিভাগে আর কারও মৃত্যু হয়নি গত এক দিনে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে সারা দেশে মোট ২০ হাজার ২০৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ১৬ লাখ ৩০ হাজার ৫৪০টি নমুনা।

এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। গত বছর ৩১ অগাস্ট তা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়। এর আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত বছর ৫ ডিসেম্বর কোভিডে মোট মৃত্যু ২৮ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।

বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫৪ লাখ ৭৪ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ৩০ কোটি ৪ লাখের বেশি রোগী।