স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩৭০ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে; আর মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের।
আগের দিন ৫১২ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল, মৃত্যু হয়েছিল ২ জনের।
শনিবার সকাল পর্যন্ত নতুন শনাক্তদের নিয়ে মোট কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৮৫ হাজার ৯০৯ জনে। তাদের মধ্যে মোট ২৮ হাজার ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, গত ২৪ ঘণ্টায় সেরে উঠেছেন ২০৩ জন। তাদের নিয়ে মোট ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ৩০৪ জন এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠলেন।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫৪ লাখ ৩৮ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ২৮ কোটি ৮২ লাখের বেশি রোগী।
বাংলাদেশে গত একদিনে যারা আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ৩৩৩ জনই ঢাকা বিভাগের, যা মোট আক্রান্তের প্রায় ৯০ শতাংশ।
যে ৪ জন মারা গেছেন, তারা প্রত্যেকেই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। দেশের বাকি সাত বিভাগে একদিনে করোনাভাইরাসে কেউ মারা যায়নি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে সারা দেশে মোট ১৫ হাজার ২১৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ১৫ লাখ ৬ হাজার ৭০২টি নমুনা।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ২ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
গত একদিনে মৃতদের মধ্যে দুজন পুরুষ, দুইজন নারী। তাদের মধ্যে তিনজনের বয়স ছিল ষাটের বেশি। একজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে।
তাদের তিনজন সরকারি হাসপাতালে এবং একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। এ বছর ৩১ অগাস্ট তা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়। এর আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ৫ ডিসেম্বর কোভিডে মোট মৃত্যু ২৮ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।