স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শনিবারে বুলেটিনে সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ১২২ নতুন রোগী শনাক্ত এবং ৪ জনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়েছে।
আগের দিন ১৯১ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল, মৃত্যু হয় ২ জনের।
নতুন ১২২ জনকে নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৮০ হাজার ৮৭২। আর আরও চারজনের মৃত্যুতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৪৭।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৪৪ জন সেরে উঠেছেন। তাদের নিয়ে মোট ১৫ লাখ ৪৫ হাজার ৪০৩ জন এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে সারা দেশে ১৩ হাজার ৯৭১টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। মোট পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ১২ লাখ ৪৮ হাজার ৭৪২টি নমুনা।
গত এক দিনে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্ত রোগীর হার দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৮৭ শতাংশ হয়েছে, যা আগের দিন ছিল ১ দশমিক ১৭ শতাংশ ছিল।
দেশে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ০৫ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
গত এক দিনে শনাক্ত নতুন রোগীদের ১০০ জনই ঢাকা বিভাগের, যা দিনের মোট শনাক্তের ৮১ শতাংশের বেশি।
যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে একজন ঢাকা বিভাগের, দুজন খুলনা বিভাগে এবং একজন বরিশাল বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। বাকি পাঁচ বিভাগে কারও মৃত্যু হয়নি এক দিনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। তাদের তিনজনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে এবং একজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ছিল।
তাদের তিনজন সরকারি হাসপাতালে এবং একজন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। এ বছর ৩১ অগাস্ট তা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়। এর আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ৫ ডিসেম্বর কোভিডে মোট মৃত্যু ২৮ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫৩ লাখ ৪৪ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ২৭ কোটি ৩৬ লাখের বেশি রোগী।