গত ১৪ সেপ্টেম্বর দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর মোট সংখ্যা ২৭ হাজারের মাইলফলক পেরিয়ে গিয়েছিল। ৮২ দিনে মৃতের তালিকায় যুক্ত হল আরও এক হাজার নাম।
সংক্রমণ কমার সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার গতিও অনেক কমে এসেছে। মৃতের মোট সংখ্যা ২৬ হাজার থেকে ২৫ হাজারে পৌঁছাতে সময় লেগেছিল ১৬ দিন। তার আগে ২৫ হাজার থেকে ২৬ হাজারে পৌঁছেছিল নয় দিনে। তার আগে ২৪ হাজার থেকে মাত্র পাঁচ দিনে মোট মৃত্যু ২৫ হাজারে পৌঁছেছিল।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসা শনাক্ত হয়। এর ১০দিন পর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যু নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৯৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের।
নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫ লাখ ৭৭ হাজার ৪৪৩ জন। তাদের মধ্যে ২৮ হাজার ১ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, দেশে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২২৬ জন সেরে উঠেছেন। তাদের নিয়ে মোট ১৫ লাখ ৪২ হাজার ২৭৪ জন এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠলেন।
গত একদিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ১৬৭ জনই ঢাকা বিভাগের, যা দিনের মোট শনাক্তের ৮৪ শতাংশের বেশি।
দেশের ৩৭ জেলায় এ সময় নতুন কোনো কোভিড রোগী শনাক্ত হয়নি। পুরো ময়মনসিংহ বিভাগে নতুন কারও সংক্রমণ ধরা পড়েনি।
গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার পর এ বছর ৩১ অগাস্ট দেশে শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়। এর আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে কোভিডে প্রথম মৃত্যুর পর রোববার তা ২৮ হাজার ছাড়িয়ে গেল। তার আগে ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫২ লাখ ৫১ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ২৬ কোটি ৫৫ লাখের বেশি রোগী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে সারা দেশে মোট ১৯ হাজার ১৩২টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ৯ লাখ ৮১ হাজার ৬০৬টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১ দশমিক ০৩ শতাংশ, যা আগেরদিন ১ দশমিক ০৭ শতাংশ ছিল।
এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৩ জন পুরুষ, ৩ জন নারী। তাদের মধ্যে ৩ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ২ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল।
মৃতদের মধ্যে ৫ জন ঢাকা বিভাগের এবং ১ জন ছিলেন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা।
তাদের চারজন সরকারি হাসপাতালে এবং দুইজন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে।