বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ৮২৭ জন। তাদের মধ্যে ২৭ হাজার ৯৮৬ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এ ভাইরাস।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, দেশে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩১৩ জন সেরে উঠেছেন। তাদের নিয়ে মোট ১৫ লাখ ৪১ হাজার ৬৬১ জন এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
এই হিসাব অনুযায়ী, দেশে এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৭ হাজার ১৮০ জন। অর্থাৎ, জানা হিসেবে এই সংখ্যক মানুষ এখন করোনাভাইরাস সংক্রমিত অবস্থায় রয়েছেন।
গত একদিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ২০৬ জনই ঢাকা বিভাগের, যা দিনের মোট শনাক্তের ৭৯ শতাংশের মত। দেশের ৩৬ জেলায় এ সময় নতুন করে কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে,গত এক দিনে সারা দেশে মোট ২১ হাজার ৫৭টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ৯ লাখ ২৮ হাজার ৬৫৯টি নমুনা।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১ দশমিক ২৪ শতাংশ, যা আগের দিন ১ দশমিক ৫০ শতাংশ ছিল।
এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে একজন পুরুষ, দুজন নারী। তাদের মধ্যে একজনের বয়স ছিল ৭০ বছরের বেশি। একজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, আর অন্যজনের ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল।
ঢাকা, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন তারা। তাদের দুজন সরকারি হাসপাতালে এবং একজন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। এ বছর ৩১ অগাস্ট তা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়। এর আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১৪ সেপ্টেম্বর তা ২৭ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫২ লাখ ২৭ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ২৬ কোটি ৩৬ লাখের বেশি রোগী।