স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে আরও ২৫৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে; মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের।
শুক্রবার সকাল পর্যন্ত শনাক্ত নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ৭১১ জনে। তাদের মধ্যে ২৭ হাজার ৯৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সরকারের হিসাবে ২৪ ঘণ্টায় সেরে উঠেছেন ২৯৮ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৫ লাখ ৩৭ হাজার ৮১৬ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
এই হিসাব অনুযায়ী, দেশে এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৭ হাজার ৯৪৯ জন। অর্থাৎ, জানা হিসেবে এই সংখ্যক মানুষ এখন করোনাভাইরাস সংক্রমিত অবস্থায় রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে ২০২ জনই ঢাকা বিভাগের যা মোট আক্রান্তের ৮০ শতাংশ। দেশের ৩৭টি জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি।
যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৬ জনই ঢাকা বিভাগের, আর ১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। বাকি ছয় বিভাগে কোভিডে কারও মৃত্যু হয়নি গত এক দিনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে সারা দেশে মোট ১৮ হাজার ১২৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ৬ লাখ ৯১ হাজার ৫৫৫টি নমুনা।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১ দশমিক ৪০ শতাংশ, যা আগেরদিন ১ দশমিক ২৫ শতাংশ ছিল।
এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৭২ শতাংশ। শনাক্ত অনুযায়ী মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের ৪ জন নারী, বাকিরা পুরুষ। তাদের ৩ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, তিনজনের বয়স ছিল ৪১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। আর একজনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।
তাদের ৬ জন সরকারি হাসপাতালে এবং একজন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। গত ৩১ অগাস্ট তা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়। এর আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১৪ সেপ্টেম্বর তা ২৭ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫১ লাখ ৩৫ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ২৫ কোটি ৬২ লাখের বেশি রোগী।