বৃহস্পতিবার সম্পাদিত এই চুক্তির আওতায় ওষুধ কোম্পানিটি সরকারকে ওই পিলের এক কোটি কোর্স সরবরাহ করবে।
রয়টার্স বলছে, এর আগে মার্ক অ্যান্ড কো ইংকের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সরকার যে চুক্তি করেছিল, মূল্যের আকারে এই চুক্তি প্রায় দ্বিগুণ।
“তবে ফাইজারের পিলের দাম অনেক কম। এক কোর্সের দাম পড়বে প্রায় ৫৩০ ডলার, যেখানে মার্কের এক ডোজের দাম ছিল ৭০০ ডলার।”
ফাইজার জানায়, তাদের তৈরি অ্যান্টিইরাল পিল প্যাক্সলোভিড ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে (পরীক্ষামূলক প্রয়োগ) রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর ঝুঁকি ৮৯ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে বলে প্রমাণ মিলেছে।
ওষুধটির জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেতে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) কাছে এর মধ্যে আবেদনও করেছে।
এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, “এই পিল ব্যবহারের আগে এফডিএর পূর্ণ নিরীক্ষার দরকার হলেও আমেরিকার জনগণের জন্য পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে জরুরি এই পদক্ষেপ নিয়েছি।”
ফাইজার বলছে, এফডিএর অনুমোদন পেলেই এই পিলের সরবরাহ শুরু করবে তারা। এই ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্রে দিনের লেনদেনের শুরুতে ফাইজারের শেয়ারের দর এক শতাংশ বেড়ে ৫১ দশমিক ৪০ ডলারে ওঠেছে।
আগামী মাসের শেষ নাগাদ একলাখ ৮০ হাজার কোর্স পিল তৈরি হয়ে যাবে বলে আশা করছে কোম্পানিটি। আর ২০২২ সালের মধ্যে অন্তত ৫ কোটি কোর্সে তৈরি হবে।
ফাইজার ও মার্কের মুখে খাওয়ার ওষুধ নিয়ে আশা জাগানিয়া ফল পাওয়ার পর বিভিন্ন দেশ ওষুধটি নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত ২২০ কোটি ডলারের বিনিময়ে মার্কের ৩২ লাখ কোভিড পিলের কোর্সের জন্য চুক্তি করেছে এবং ভবিষ্যতে আরও ২০ লাখের স্বত্ত্ব কিনেছে।